প্রতীকী ছবি (Photo Credits: PTI)

হায়দরাবাদ, ১ নভেম্বর: দাঁত উঁচু-নীচু। সেই কারণে এক মহিলাকে তালাক (Triple Talaq) দিলেন এক ব্যক্তি। তেলাঙ্গানার হায়দরাবাদের (Hyderabad) ঘটনা। রুখসানা বেগম (Rukhsana Begum) নামে ওই মহিলার অভিযোগ, স্বামী মোস্তফা তিন তালাক দিয়েছে। সংবাদসংস্থা ANI-কে তিনি বলেন, "পণের জন্য কয়েকমাস ধরে আমাকে নির্যাতন করছিল স্বামী ও শাশুড়ি। একদিন মোস্তাফা তিনবার 'তালাক' উচ্চারণ করে চলে যায়। যখন আমি তাকে ফোন করি। ও বলে যে আমাদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। আমি এর বিচার চাই।" পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের জুনেই মোস্তাফা ও রুখসানার মধ্যে বিয়ে হয়। ৩১ অক্টোবর মোস্তাফার বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় মামলা রুজু হয়। এছাড়াও পণ ও তিন তালাক আইনেও মামলা রুজু হয়। অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন এলাকার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক।

রুখসানা বলেন, বিয়ের সময় অনেক কিছু দাবি করেছিল ওরা। আমার বাবা সবই দিয়েছে। যদিও বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শাশুড়ি নির্যাতন শুরু করে। ওরা আরও সোনা আনার কথা বলে। এর আগে মোস্তাফা আমার বাবার কাছ থেকে একটা মোটরবাইকও নেয়। এরপর একদিন আমাকে বলে দাঁত উঁচু-নীচু হওয়ার কারণে সে আমাকে পছন্দ করে না। তাই আমার সঙ্গে থাকবে না। আমার শাশুড়ি আমাকে ঘরের মধ্যে ১০-১৫ দিন আটকে রেখেছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।" তিনি আরও বলেন, "আমি পুলিশে অভিযোগ জানালে স্বামী ও শাশুড়ি আমাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। যদিও ১ অক্টোবর মোস্তাফা আমাদের বাড়িতে এসে জানায় সে আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে না। আমার বাবা-মায়ের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে ও। ১২ অক্টোবর আমি ফোন করলে আমাকে তালাক দিয়ে দেয়।" আরও পড়ুন: Triple Talaq: স্ত্রী আধুনিক নয়, খায় না মদও; তাই যুবতিকে তিন তালাক স্বামীর

৩০ জুলাই তিন তালাককে অপরাধের তকমা দিয়ে বিল পাশ হয়েছে সংসদে। সেই বিলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করার পর তা আইনে পরিণত হয়েছে। মুসলিম উওমেন প্রটোকশন অফ রাইটস অন ম্যারেজ অ্যাক্ট, ২০১৯-এর আওতায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেওয়া এখন অপরাধ। এই আইনে কেউ দোষীসাব্যস্ত হল তিন বছরের জেল খাটতে হবে।