নতুন দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর: হায়দরাবাদ ধর্ষণ ও খুনের (Hyderabad Rape and Murder Case) ঘটনায় আজ সকালে পুলিশের গুলিতে হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ অভিযুক্তের। এই ঘটনার পর গোটা দেশজুড়ে নানারকম প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। কেউ প্রশ্ন করেন পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে, আবার কেউ ঘটনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সাইনা নেহওয়াল, মানেকা গান্ধি, জয়া বচ্চন থেকে দেশ ও রাজ্যের এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের বিএসপি (BSP) নেত্রী মায়াবতীও (Mayawati)। তিনি সাইবেরাবাদ পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেছেন, "উত্তর প্রদেশে মহিলাদের ওপর একের পর এক অপরাধের ঘটনা ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার সেখানে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। হায়দরাবাদ পুলিশের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের।" আরও পড়ুন, এনকাউন্টারে ঝাঁঝরা ধর্ষকরা, সানন্দে পথে বেরিয়ে সাইবারাবাদ পুলিশকে রাখি পরিয়ে গোলাপ পাপড়িতে অভিনন্দন তেলেঙ্গানার বাসিন্দাদের
Mayawati: Crimes against women are on the rise in Uttar Pradesh, but the state government is sleeping.Police here and also in Delhi should take inspiration from Hyderabad Police,but unfortunately here criminals are treated like state guests, there is jungle raj in UP right now pic.twitter.com/KeN53KCV4A
— ANI UP (@ANINewsUP) December 6, 2019
এই ঘটনায় হায়দরাবাদ পুলিশ (Hyderabad Police) জানিয়েছে, এ দিন ভোরে টনার পুনর্বিশ্লেষণের জন্য ৪ অভিযুক্তকেই ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা৷ পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়৷ PTI-র সূত্র অনুযায়ী, অভিযুক্তরা পুলিশের হাত থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। তারপর পুলিশের উদ্দেশে গুলি ছুঁড়তে থাকে। তারপর পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ গুলি চালায়। এর ফলে ২ জন পুলিশকর্মী আহত হয়। গত ৩০ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল সাইবেরাবাদ পুলিশ৷ এক মহিলা চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দেয় তারা৷ পুলিশের কাছে নিজেদের দোষ কবুল করে ৪ জনই৷ চেরাপল্লি সেন্ট্রাল জেলে ৪ জন বিচারাধীন বন্দি ছিল।