
হায়দরাবাদ, ১৬ জুনঃ আকাশপথে যাত্রা ঘিরে একের পর এক বিপত্তি। অথচ এটিই সবচেয়ে ব্যয়বহুল গণপরিবহণ ব্যবস্থা। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যাওয়া হোক কিংবা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে, আকাশপথে যাত্রা সবচেয়ে কম সময় সাপেক্ষ এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুলও। সবচেয়ে ব্যয়বহুল যাত্রাই এখন সবচেয়ে আতঙ্কের হয়ে উঠেছে। সদ্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা (Air India Plane Crash) দগদগে স্মৃতি যেন ভুলতে পারছে না কেউ। এরই মাঝে হজযাত্রী বহনকারী সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। লখনউ বিমানবন্দরে অবতারণের সময়ে বিমানের বাম চাকা থেকে ধোঁয়া এবং আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হতে দেখা গিয়েছে। এবার মাঝ আকাশে যাত্রিবোঝাই বিমান বিস্ফোরিত হওয়ার হুমকি। বোমাতঙ্কের জেরে লুফথানসার বিমানকে (Lufthansa Flight) হায়দরাবাদের বিমানবন্দরে অবতারণের অনুমতি দেওয়া হল না। মাঝ আকাশ থেকেই ফেরানো হল ওই আন্তর্জাতিক বিমানকে।
জানা যাচ্ছে, রবিবার, ১৫ জুন বিকেলে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর (Frankfurt Airport) থেকে রওনা দিয়েছিল বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার লুফথানসার LH752 বিমানটি। ১৬ জুন সোমবার ভোরবেলায় হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Rajiv Gandhi International Airport) অবতরণের কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু আন্তর্জাতিক আকাশসীমা থেকেই বিমানটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রিবোঝাই বিমানটিকে অবতারণের অনুমতি দেয়নি রাজীব গান্ধী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানান, রবিবার বিমানটি উড়ানের পরে পরেই সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার একটি হুমকি বার্তা আসে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে। তখনও ভারতীয় আকাশসীমার প্রবেশ করেনি লুফথানসার LH752। বোমা হুমকি মূল্যায়ন কমিটিও গঠন করা হয়। এরপর কোন রকম ঝুঁকি না নিয়ে সেটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাত্রার কয়েক ঘণ্টা পরই গতিপথ পরিবর্তন করে জার্মানিতে ফিরে যায় বিমানটি।
লুফথানসা এয়ারলাইন্সের মুখপাত্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটি নিরাপদে ফ্রাঙ্কফুর্টে ফিরে এসেছে। সকল যাত্রী এবং ক্রু সদস্যরা নিরাপদে রয়েছেন। হায়দরাবাদগামী যাত্রীদের জন্যে বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।