দিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: দিল্লির গার্গী কলেজে (Gargi College) শ্লীলতাহানির ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার ১০ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। হজ খাস থানায় ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫২, ৩৫৪, ৫০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠান (College Fest) চলাকালীন বহিরাগত মদ্যপ যুবকরা তাঁদের যৌন হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ আনেন কলেজের ছাত্রীরা। আর এই পর্বটি নীরবে দেখার অভিযোগ তোলেন সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁরা জানান এদিন কিছু ছাত্রীদের লক্ষ করে হস্তমৈথুনও করে তারা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তে কাজ করছে ১১টি দল। অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে NCR-এর বিভিন্ন জায়গায় টহলদারি চালাচ্ছে এই দলগুলি। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত তথ্য-প্রমাণ কী পাওয়া যায়, তাও খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ (Investigation) করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে শনাক্তও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। স্ক্রোলের খবর অনুযায়ী কলেজের অধ্যক্ষা প্রমীলা কুমার (Pramila Kumar) প্রথমে বিষয়টি শিকার করতে অস্বীকার করলেও পরে তা শিকার করে নেন। শিথিলতার দায় শিকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান ছাত্রীদের কাছে। তারপরেই ছাত্রীদের অভিযোগ নেয় পুলিশ। আর গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তদের মধ্যে ১০ জনকে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, গত ৪ জানুয়ারি থেকে ৩ দিন ফেস্ট চলেছে কলেজে। ৬ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে অন্য কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি ছিল। আবার ওই দিনই কলেজের বাইরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) সমর্থনে মিছিল বেরিয়েছিল। ওই মিছিল থেকেই অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় এক দল লোক ট্রাকে চেপে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। গেট ভেঙে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢোকে। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে তখন থিকথিকে ভিড়। আরও পড়ুন: Supreme Court Orders On Candidates With Criminal Cases: ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের কী কারণে প্রার্থী করা হয়েছে, ওয়েবসাইটে জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে; নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
তারই মধ্যে বহিরাগতেরা ঢুকে মেয়েদের যৌন হেনস্থা (Sextual Harrasment) করে বলে অভিযোগ। অশালীন মন্তব্য, গায়ে হাত দেওয়া এমনকী ছাত্রীদের সামনে তারা হস্তমৈথুন (Masterbation) করে বলেও অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে মেয়েরা ভয় পেয়ে কলেজের শৌচালয়ের দিকে ছুটে পালালে, সেখানে তাঁদের আটকে রাখা হয় বলেও দাবি পড়ুয়াদের একাংশের।