সোমবার ভারতের প্রথম দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে অনুষ্ঠিত নৌ কমান্ডারদের সম্মেলনে ভারতীয় নৌবাহিনীর আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই অপ্রত্যাশিত সংঘাতের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন তিনি।গোয়া উপকূলের ঊর্ধ্বতন নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদেরও কমান্ডারদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে রাজনাথ নৌবাহিনীকে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর এবং সাহস ও নিষ্ঠার সাথে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য প্রশংসা করেন। তিনি বলেন- ভবিষ্যতে যে সংঘাত হবে তা হবে অপ্রত্যাশিত। ভবিষ্যতের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যবস্থায় সব দেশ তাদের রণনীতি সহ কৌশল বদলে ফেলছে। আমাদের দেশের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বারবার আঘাত হেনেছে সন্ত্রাসবাদী শক্তিরা। তাই সেই সমস্ত উপকূলরেখায় অবিরাম নজরদারি বজায় রাখতে হবে। এর পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলির আগ্রাসন ও ক্রমবর্ধমান হুমকিগুলিকে কার্যকরভাবে প্রতিহত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে অবশ্যই ভবিষ্যতের সক্ষমতা বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে এবং একই সাথে উপকূলরেখা এবং চীন ও পাকিস্তানের সীমান্ত বরাবর সামরিক প্রস্তুতিও বজায় রাখতে হবে। কারণ গত ৩-৪ বছরে বিশেষ করে লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশে চীন ও ভারত কয়েকটি সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তাছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রক্সি যুদ্ধের কৌশল, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে বার বার অনুপ্রবেশ এবং কেরালার মতো সীমান্ত রাজ্যগুলিতেও গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে বিপদের মোকাবেলার কৌশলগুলিও বিকশিত হওয়া দরকার।
রাজনাথ সিং বলেন দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য প্রথমেই দরকার সুরক্ষিত সীমানা। এই মুহুর্তে ভারত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য নতুন করে জোর ও উদ্যোগ নিয়ে 'অমৃত কাল'-এ এগিয়ে যাচ্ছে।অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার মধ্যে যোগসূত্রের উপর জোর দিয়ে বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা খাত একটি প্রধান চাহিদা সৃষ্টিকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে এবং দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করছে।