যশবন্ত সিনহা (Photo Credit: PTI)

শ্রীনগর, ২২ নভেম্বর: ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রায় সাড়ে তিনমাস পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহাকে শ্রীনগরে প্রবেশের অনুমতি দিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন (Jammu & Kashmir administration)। সুশীল সমাজের চার প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীনগরে যাচ্ছে প্রাক্তন বিজেপি নেতা। এঁরা হলেন সাংবাদিক ভারত ভূষণ, প্রাক্তন আমলা ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ, সমাজকর্মী কপিল কাক ও সুশোভা ব্রাভে (Bharat Bhushan, former bureaucrat Wajahat Habibullah and social activists Kapil Kak and Sushobha Barve)। কেন্দ্রের নির্দেশেই এঁরা উপত্যকায় যাচ্ছেন। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর গোটা কাশ্মীর যে কমিউনিকেশন ব্লকেডের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এখনও সেখানে আংশিকভাবে কার্ফিউ বলবৎ আছে। বহু জায়গায় মোবাইল ফোন কাজ করছে না। ইন্টারনেট তো নেই বললেই চলে। যখন ব্লকেড পুরোদমে চলছিল তখন সাধারণ উপত্যকাবাসী ঠিক কীভাবে কাটিয়েছেন তার মূল্যায়ন করাই বিদ্বজনের কাজ।

মূলত বিদ্বজনদের উপস্থিতিতেই উপত্যকা থেকে কমিউনিকেশন ব্লকেড পুরোপুরি উঠে যাবে। অন্যদিকে সাড়ে তিনমাস পর কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি পেলেন যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। ৫ আগস্টের পর বেশ কয়েকবার তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তবে লাভ কিছু হয়নি। প্রতিবারই তাঁকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছিল, তিনি কাশ্মীরে প্রবেশ করলে সেখানকার আইন শৃঙ্খলার অবনিত ঘটবে। তবে যাইহোক এবার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের তরফে উপত্যকায় প্রবেশের অনুমতি পেলেন যশবন্ত সিনহা। ৩৭০ ধারা উঠে যেতে সেখানকার বাসিন্দারা কি কি সুবিধা ও অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তার তৃণমূল স্তরের মূল্যায়ন করাটাই প্রাক্তন বিজেপি নেতার কাজ। এজন্য তিনি ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত উপত্যকায় থাকার সুযোগ পাবেন। আরও পড়ুন-Maharashtra Resident Files Petition: জনগণের রায়কে অস্বীকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব ঠাকরে, জোটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মহারাষ্ট্রের আইনজীবী

শোনা যাচ্ছে, উপত্যকায় থাকাকালীন সময়ে সিনহা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর ফারুক আবদুল্লা, অমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করবেন। যাঁরা ৩৭০ ধারা বিলোপের সময় থেকেই যারা সরকারি বন্দিদশা যাপন করছেন। এছড়াও সরকারি বন্দিদশায় থাকা উপত্যকারও আরও বেশ কয়েকজন রাজনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা। উপত্যকার বিশেষ অধিকার খর্ব হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৫০০০ জনকে গারদে পুরেছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। এই দলে সাধারণ বাসিন্দা থেকে শুরু করে পাথর নিক্ষেপকারী, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা, দু্ষ্কৃতী, রাজনৈতিক নেতা কে নেই। এদেরে অনেককেই মুক্তিও দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) মতে খুব ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে উপত্যকা। তবে ফারুক ও ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি (Abdullahs and Mufti) এখনও বন্দিদশাতেই রয়েছেন।