নিজের শিশুর সামনেই যৌনাঙ্গ প্রদর্শন থেকে শুরু করে তাঁর সামনে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনতা করা। সম্প্রতি এমনই বিকৃত মস্তিকের ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেল উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। জানা যাচ্ছে আপাতত তাঁর স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছে সে। তবে শনিবার এই মামলার শুনানি উত্তরাথণ্ড হাইকোর্টে চলাকালিন অভিযোগকারিনীর আইনজীবী জানায়, ওই ব্যক্তি শুধু যৌনতার জন্য পাগল ছিল। স্ত্রীয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক চলাকালিন অত্যাচার করত। এমনকী ঋতুচক্র চলাকালিন যৌনতার জন্য চাপ দিয়েছিল। যার ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্বামীর কাছে সে জানায় যে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু সে তাতে বাধা দেয়।

এত গেল স্ত্রীয়ের সঙ্গে অত্যাচার। অন্যদিকে বাচ্চার সামনে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেরাতো ওই ব্যক্তি। এবং তাঁকে ল্যাপটপে অশ্লীল ভিডিও দেখাতো। লজ্জায় সে বাবার থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সে টেনে নিয়ে বাচ্চাকে ল্যাপটপের সামনে বসাতো। এমনকী অসুস্থ থাকাকালীন বাচ্চার সামনে ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে দিয়ে ওরাল সেক্স করাতে বাধ্য করতো বলেও অভিযোগ। আর তারপরেই বাধ্য হয়ে শিশুকে নিয়ে পুলিশের দারস্থ হয় নির্যাতিতা মহিলা। পুলিশকে সবকিছু জানাতেই তাঁরা পকসো আইনের অধীনে সেকশন ১১ ও সেকশন ১২ ধারায় মামলা রুজু করে।

অন্যদিকে মহিলার বিরুদ্ধে অত্যাচার করার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৫ ও ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির সিআরপিসি ধারা ১২৫ এর অধীনে ভরণপোষণ বাবদ মহিলাকে ২৫ হাজার ও শিশুকে বড় করার জন্য ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। পাশাপাশি মামলা চলাকালিন অভিযুক্ত যেন কোনওভাবেই মা ও শিশুর কাছে না আসে তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।