নতুন দিল্লি, ৪ ডিসেম্বর: সাম্প্রতিক কালে গৃহীত তিন কৃষি আইনের (farm laws) সংশোধনে রাজি কেন্দ্রের মোদি সরকার। তবে বিজ্ঞান ভবনে সরকার পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়া কৃষক নেতারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শুধু সংশোধনে চিঁড়ে ভিজবে না। তিনটি আইনই প্রত্যাহার করে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান ভবনে দীর্ঘ সাতঘণ্টা বৈঠকের পরেও নিজেদের দাবিতে অনড় কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর পাশাপাশি দূষণের কারমে কৃষকদের যে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হয় তা-ও বন্ধের দাবি জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। দিল্লিতে বায়ূদূষণ রুখতে রাজধানী ও আশপাশের রাজ্যে খড় পোড়ানোয় শাস্তির ব্যবস্থা করে অক্টোবরে কেন্দ্রীয় সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। তাতে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি রয়েছে। তা নিয়েও কৃষকদের আপত্তি রয়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল এনে কেন্দ্রীয় সরকার চাষিদের বিদ্যুতে ভর্তুকি তুলে দিতে চাইছে বলেও কৃষক সংগঠনগুলি অভিযোগ করেছে। তা নিয়েও মন্ত্রীরা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন। বৈঠকে যোগ দেওয়া পাঞ্জাবের কৃষক নেতা কুলদীপ সিং বলেছেন, চার দফা বার্তালাপের পরেও বৈঠক অমীমাংসিত রয়ে গেছে। কারণ সরকার নিজেদের ইচ্ছেটা স্পষ্ট করেনি। এখনও কেন্দ্র নিজেদের জেদ বজায় রেখেছে। যতক্ষণ না কৃষক বিরোধী তিন আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, কৃষকদের দাবিদাওা নিয়ে সরকার ভানা চিন্তা করবে। এরপরই কৃষক নেতারা বলেন, তাঁরাও সরকারের ইচ্ছে নিয়ে ভেবে দেখবেন। ফের আগামী কাল ৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কৃষক নেতৃত্ব। সেখানেই কোঁজা হবে সমাধানের রাস্তা। আরও পড়ুন-Prof Hasi Dashgupta Died: করোনার কোপ, প্রয়াত সাগর দত্তের অধ্যক্ষা হাসি দাশগুপ্ত, একই দিনে চলে গেলেন রাজ্যের আরও ২ চিকিৎসক
বৈঠকের পরেও কৃষক নেতারা বিল প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় থেকেছেন। এমনকি বৈঠকের মাঝখানে বিরতিতে বিজ্ঞান ভবনের সরকারি খাবার খেতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। বাইরে অপেক্ষায় থাকা গাড়ি থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের কাছে। তাঁরা জানিয়ে দেন, কোনও সংশোধন তাঁরা মানবেন না। তিনটি আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। কৃষক নেতা বলদেব সিংহ সিরসা বলেন, ‘‘সরকারকে মানতে হয়েছে আইনে ত্রুটি রয়েছে। তাঁরা সংশোধন করবেন। কিন্তু আমরা বলে দিয়েছি, সংশোধন নয়, আইন প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা বলেছি, এমএসপি-র গ্যারান্টি নিয়ে আইন চাই।’’