কলকাতা, ৪ ডিসেম্বর: ফের করোনা কাড়ল প্রাণ। এবার চলে গেলেন সাগরদত্ত মেডিকলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষা হাসি দাসগুপ্ত (Prof Hasi Dashgupta)। বছর ৫৫-র হাসিদেবী, বেশ কয়েকদিন আগে জ্বরে পড়েন। জ্বর হয়েছিল তাঁর স্বামীরও। দুজনেরই কোভিড টেস্ট করা হয়। সোমবার তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে কোভিড হলেও তেমন কোনও উপসর্গ না থাকায় তাঁরা হোম আইসোলেশনে ছিলেন। বুধবার থেকে হাসি দাশগুপ্তের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে জানান, তাঁর ফুসফুস বিকল হয়ে গিয়েছে।
শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৭০ শতাংশে নেমে যেতেই অক্সিজেন দেওয়া শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়। চিকিৎসকরা যখন ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করছেন ঠিক তখনই সন্ধ্যা নাগাদ চলে গেলেন অধ্যক্ষা হাসি দাশগুপ্ত। সাগর দত্তের অধ্যক্ষার আগে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ছিলেন হাসি দাশগুপ্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসিদেবীর ক্ষেত্রে কোনওরকম চিকিৎসা সহায়তা কাজে লাগেনি। তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল না। এদিকে অক্সিজেনের মাত্রা হু হু করে কমে যাচ্ছিল। এই সমস্যাকে বলা হয় হ্যাপি হাইপক্সিমিয়া। হাসিদেবীর স্বামীও করোনা আক্রান্ত। তিনি মেডিক্যাল কলেজ হাসাপতালের কেবিনে ভর্তি আছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এই একই দিনে রাজ্যের আরও দুই চিকিৎসককে কেড়ে নিল করোনা। একজন হলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনি ডাক্তার মৃণাল কান্তি আচার্য। তিনি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চোখ কান গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি হন শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে। আরও পড়ুন-Parkash Singh Badal Returns Padma Vibhushan: কৃষি আইনের প্রতিবাদে পদ্মবিভূষণ ফেরালেন প্রকাশ সিং বাদল
সম্প্রতি তাঁর রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল। অন্যদিকে এ দিন দুপুরে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় কল্যাণীর বাসিন্দা কার্ডিও থোরাসিক ভাস্কুলার সার্জন রমেন হাজরার (৬৮)। কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরলেও বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরস পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক চিকিৎসক মানস গুম্টা বলেন, ‘‘একের পর চিকিৎসকের করোনায় মৃত্যু ক্রমশ দুঃসহ হয়ে উঠছে।’’