EU MP Nicolaus Fest’s Statement: বিরোধী সাংসদদের এবার জম্মু ও কাশ্মীর যাওয়ার অনুমতি দিক মোদি সরকার, মুখ খুললেন ইইউ সাংসদ নিকোলাস ফেস্ট
নিকোলাস ফেস্ট (Photo Credit: ANI)

শ্রীনগর, ৩০ অক্টোবর: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) সদস্যদের কাশ্মীর সফর শেষ হয়েছে। সফর শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদ নিকোলাস ফেস্ট বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচিত দেশের বিরোধী দলের সাংসদদের কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া। নিকোলাস ফেস্ট (Nicolaus Fest) সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে একথা জানালেন। একই সঙ্গে বললেন, কাশ্মীরে একটা ভারসাম্যহীনতা রয়েছে, সরকারের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই পরিস্থিতির উন্নতি করা। ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হল, কাশ্মীর (Kashmir) উপত্যকার মূল সমস্যাই হল সন্ত্রাসবাদ। কাশ্মীর সমস্যার ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তাঁরা নাক গলাতে চান না। এমনকী নাৎসীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টিও অস্বীকার করে জানানো হল, তাঁরা অ্যাডলফ হিটলারের সমর্থক।

তবে আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাংসদরা আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, সন্ত্রাস শেষ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ভারত যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে তাঁদে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সাংসদ বার্নহার্ড জিমনিওক (Bernhard Zimniok)। জার্মানির সাংসদ জিমনিওক কাশ্মীর সফরকারী ইওরোপীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের সদস্য। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার জিমনিওক বলেছেন, "ইউরোপের দেশগুলির যদি ইচ্ছা হয় তবে দুই দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করা উচিত।" প্রতিবেদনে আরও যোগ করা হয়েছে যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত দোভালের (Ajit Doval) সাথে দেখা করা প্রতিনিধি দলটিতে জিমনিওক ছিলেন। ওই সাংসদকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমি মূলত কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে কথা বলেছিলাম। কথা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক নিয়েও।” আরও পড়ুন-EU On Kashmir: 'ভারত-পাকিস্তান চাইলে কাশ্মীর ইস্যুতে ইওরোপের মধ্যস্থতা করা উচিত', বললেন ইওরোপীও ইউনিয়নের সাংসদ বার্নহার্ড জিমনিওক

সোমবার, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদদের বাদামি বাগের সেনাবাহিনীর ১৫ কপর্সের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে শীর্ষ সেনা কমান্ডাররা তাঁদের কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর সাংসদরা তাঁদের হোটেলে ফিরে যাওয়ার আগে ডাল লেকে প্রায় ২০ মিনিটের জন্য নৌকাবিহার করেন।