EU On Kashmir: 'ভারত-পাকিস্তান চাইলে কাশ্মীর ইস্যুতে ইওরোপের মধ্যস্থতা করা উচিত', বললেন ইওরোপীও ইউনিয়নের সাংসদ বার্নহার্ড জিমনিওক
কাশ্মীরে ইওরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদরা (Photo Credits: ANI)

শ্রীনগর, ৩০ অক্টোবর: ভারত ও পাকিস্তান চাইলে ইওরোপ কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য মধ্যস্থতাকারীর মতো কাজ করা উচিত। এই মন্তব্য করলেন ইওরোপীও ইউনিয়নের (European Parliament) সাংসদ বার্নহার্ড জিমনিওক (Bernhard Zimniok)। জার্মানির সাংসদ জিমনিওক কাশ্মীর সফরকারী ইওরোপীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের সদস্য। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার জিমনিওক বলেছেন, "ইওরোপের দেশগুলির যদি ইচ্ছা হয় তবে দুই দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করা উচিত।" প্রতিবেদনে আরও যোগ করা হয়েছে যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত দোভালের (Ajit Doval) সাথে দেখা করা প্রতিনিধি দলটিতে জিমনিওক ছিলেন। ওই সাংসদকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমি মূলত কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে কথা বলেছিলাম। কথা হয়েছে ইওরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক নিয়েও।" এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর কাশ্মীর সফরকারী এটিই প্রথম বিদেশি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার প্রতিনিধি দলটি ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের সংস্কার, শান্তিরক্ষা, মানবাধিকার ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে। আরও পড়ুন: Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ৫ বাঙালি শ্রমিককে গুলি করে খুন করল জঙ্গিরা, শোকস্তব্ধ পরিবার

সোমবার, ইওরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। মঙ্গলবার ইওরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদদের বাদামি বাগের সেনাবাহিনীর ১৫ কপর্সের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে শীর্ষ সেনা কমান্ডাররা তাঁদের কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর সাংসদরা তাঁদের হোটেলে ফিরে যাওয়ার আগে ডাল লেকে প্রায় ২০ মিনিটের জন্য নৌকাবিহার করেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীর সফর উন্নয়নের বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়ার পরিবর্তে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিভিন্নতার দিকগুলি আরও ভালো করে বুঝবে প্রতিনিধিদলটি।