নতুন দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি: দিল্লিতে হিংসা (Delhi Violence) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। বুধবার আদালত বলেছে ১৯৮৪-র মতো পরিস্থিতি আরেকটা হতে দিতে পারি না৷ আদালতের নজরে তা হতে দিতে পারি না। উত্তর পূর্ব দিল্লিতে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে প্রাক্তন বিধায়ক ও বিজেপি নেতা নেতা কপিল মিশ্রের (Kapil Mishra) বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) করার দাবি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করে বেঞ্চ। দিল্লি হাইকোর্টের ভরা এজলাসে চালানো হয় কপিল মিশ্রর উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দাঁড়িয়ে সেই উস্কানিমূলক ভাষণের ক্লিপ৷
বিচারক এস মুরলিধর ও তালওয়ান্ত সিং-র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ বলে, "আমরা এই দেশে আর ১৯৮৪ সালের মতে পরিস্থিতি হতে দিতে পারি না। এই আদালতের তত্ত্বাবধানে নয়।" ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধিকে হত্যার পর রাজধানীতে চলা শিখ বিরোধী দাঙ্গার কথাই বলেছে আদালত। ওই দাঙ্গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩,৩৫০ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। আরও পড়ুন: Delhi Violence: দিল্লির ভাই-বোনেদের অনুরোধ শান্তি এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
রাজধানীর বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রুত হেল্পলাইন নম্বর চালুর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারকরা। এছাড়াও যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারকে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা ও যাঁরা আহত, তাঁদের চিকিত্সার সব বন্দোবস্ত করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। হিংসা কবলিত এলাকার মানুষ যেন ওষুধ, খাবার, কম্বলের মতো ন্যূনতম ত্রাণ পায়, তা কথাও বেঞ্চ পুলিশকে বলেছে। আহতদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ন্যূনতম সুবিধাযুক্ত পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনেরও নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে আজ আদালতে উপস্থিত দিল্লি পুলিশের কমিশনার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) জানিয়েছেন তিনি কপিল মিশ্রর উস্কানিমূলক ভিডিয়ো এখনও পর্যন্ত দেখেনি। পুলিশ আধিকারিকের জবাবে আদালত হতবাক হয়ে যায়। সমস্ত তথ্য মাধ্যমের অ্যাক্সেস থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তিনি এই জাতীয় ভিডিয়ো সম্পর্কে এখনও জানেন না, তা শুনে অবাক হয়ে যান বিচারকরা। বেঞ্চ পুলিশ কমিশনারকে বলে, "আপনার অফিসে অনেকগুলি টিভি রয়েছে, কীভাবে একজন পুলিশ অফিসার বলতে পারেন যে তিনি ভিডিয়োগুলি দেখেননি? আমরা সত্যিই দিল্লি পুলিশের পরিস্থিতি দেখে হতবাক হয়েছি।" বিচারক এস মুরলিধর বলেন, "'কিছু নেতা খোলাখুলি উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিচ্ছে, আমরা সবাই ভিডিয়োগুলিতে দেখেছি৷ সব খবরের চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে৷"