জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia University) ১৫ ডিসেম্বর যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তারা সকলেই অপরাধী (Criminals)। কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী নয়। সকলেই বহিরাগত (Outsiders) বলে জানায় দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। মোট ১০ জনকে ওইদিন গ্রেফতার করা হয়ে। তবে কিছু ছাত্রছাত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়। যাদের পরে ছেড়েও দেওয়া হয়।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (CAA) কেন্দ্র করেই হয় ধুন্ধুমার। দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গত রবিবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করে, ও পরে টিয়ার গ্যাস, জলকামান ছোড়ে। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, পুলিশ লাইব্রেরির ভিতর ঢুকে ছাত্রদের সেখান থেকে টেনে বের করে মারধর করে। ৫০ জনকে গ্রেফতার করে পরে ছেড়েও দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গোটা দিল্লি গর্জে ওঠে। জামিয়ার শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনও প্রতিবাদে চারিদিকে বাস, গাড়ি, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়। যার আঁচ এসে পড়ে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপরও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পথে নাম জেইউ, জেএনইউ, হায়দরাবাদ মৌলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ও গর্জে ওঠে। আরও পড়ুন, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় পুলিশি লাঠিচার্জে উত্তপ্ত রাজধানী, সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিল দিল্লি সরকার

আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি সেমিস্টারের বাতিল হওয়া পরীক্ষা (Examination) কবে হবে সেই নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কে বাড়ি ফিরে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পড়ুয়ারা সকলে ফিরবে বলে আশা করা যায়।