Delhi Murder (Photo Credit: File Photo)

দিল্লি, ১ জুন: দিল্লিতে (Delhi) নাবালিকা খুন কাণ্ডে একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে  আসতে শুরু করেছে। সাক্ষীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ে জানিয়েছিল সাহিলের (Sahil) কথা কিন্তু বন্ধু হিসেবে। সাহিল তাঁদের সামনেও এসেছে। পরে যখন সাহিলকে নিয়ে তাঁর মেয়ে বাড়িতে কথা বলেন, সেই সময় তাঁরা তাকে পড়াশোনায় মন দেওয়ার পরামর্শ দেন। সাক্ষীর বয়স খুব কম, তাই যেন সে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে বলে জানান তার বাবা। বাড়ির লোকের সাহিল সম্পর্কে মত শুনে রেগে যায় সাক্ষী এবং সে বন্ধু নীতুর বাড়িতেও একদিন চলে যায় বলে জানান তার বাবা।

আরও পড়ুন: Delhi Murder: হরিদ্বার থেকে ছুরি কেনে, প্রেমিকা সাক্ষীকে খুনের পর পার্কে বসে, মোবাইল ফেলে উত্তরপ্রদেশে চম্পট দেয় সাহিল

সাহিলকে নিয়ে সাক্ষীর সঙ্গে তার বাবার বাকবিতণ্ডা শুরু হলে, সংশ্লিষ্ট নাবালিকা বন্ধু নীতুর বাড়িতে ১০ দিন ধরে থাকতে শুরু করে। হঠাৎ করেই সাক্ষীর বন্ধু নীতু ২৮ মে তাঁদের সামনে আসে এবং জানায় সাহিল হাজির। ওই সময়ই সাহিল সাক্ষীকে ছুরি নিয়ে কোপাচ্ছে বলে নাবালিকার বাবাকে জানায় তার বন্ধু। যা শুনে সাক্ষীর বাবা সেখানে হাজির হন সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। সাহিল ছুরি নিয়ে কুপিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে সাক্ষীকে খুন করে। এবং সাক্ষীর মৃতদেহ রাস্তার উপর পড়ে থাকতে দেখেন তার বাবা।

পুলিশের কাছে এফআইআরের সময় সাক্ষীর বাবার কান্না কার্যত থামেনি। সাহিলের বিরুদ্ধে যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়, সে বিষয়ে পুলিশের কাছে বার বার আর্জি জানান ওই ব্যক্তি।