দিল্লি, ৩১মে: দিল্লিতে (Delhi) নাবালিকা কন্যা সাক্ষী খুনে অভিযুক্ত সাহিলের বিষয়ে এবার নয়া তথ্য হাতে এল পুলিশের। গত ২৮ মে সাহিল খুন করে ১৬ বছরের কিশোরীকে। ২০ বছরের সাহিল প্রেমিকা সাক্ষীকে খুনের আগে থেকেই পরিকল্পনা করছিল। ২৮ মে দিল্লির শাহবাদ ডেয়ারি এলাকায় সাক্ষীকে নৃশংসভাবে খুনের পর পাশের পার্কে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসেছিল। পার্ক থেকে উঠে এরপর একটি জঙ্গলে ছুরি ছুড়ে ফেলে দেয় সাহিল। জঙ্গলে ছুরি ফেলার পর নিজের মোবাইল ফোনের সুইচও বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত। পুলিশের কথায়, সাক্ষীকে খুনের আগে হরিদ্বার থেকে ছুরি কেনে সাহিল। হরিদ্বার থেকে ছুরি কেনার পর তা দিয়ে গত ২৮ মে সাক্ষীকে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে নৃশংসভাবে খুন করে ২০ বছরের সাহিল।
পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই তরুণীকে খুনের পর সাহিল শ্যামপুর-বাদলি থেকে অনলাইনে অটো বুক করে। অনলাইনে অটো বুক করে তা চেপে মেট্রো স্টেশনে যায় ওই যুবক। পরদিন সকালে অর্থাৎ ২৯ মে সাহিল আনন্দবিহারে যায়। এরপর আনন্দবিহার থেকে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে পাড়ি দেয় সাহিল। পুলিশ যাতে কোনওভাবে পাকড়াও করতে না পারে, তার জন্য পরপর বাস বদলে বুলন্দশহরে পৌঁছে যায় ওই যুবক।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে সাহিল খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারির পর সাহিল যে একেবারেই অনুতপ্ত নয় তা বুঝতে পারে পুলিশ। সাক্ষীকে খুনের পর সাহিলের মধ্যে কোনও অনুতাপ চোখে পড়েনি বলেও জানায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত প্রোমিকা সাক্ষীকে শাহবাদের ডেয়ারি এলাকায় রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে প্রায় ২০বার ছুরির কোপে নৃশংসভাবে খুন করে সাহিল। সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুন করে তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধা খুনের নৃশংসতার কথা শুনে যেমন মানুষ আঁতকে ওঠে, তেমনি এবার সাহিলের নৃশংসতা খুনেও কেঁপে উঠছে গোটা দেশ।