Delhi Blast: দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ মামলায় বড় সাফল্য পেল এনআইএ (NIA)। গত সোমবার দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়িবোমা বিস্ফোরণে (Car Blast) আত্মঘাতী বোমাবাহকের ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেফতার করল এনআইএ। এর ফলে এই কাণ্ডে আরও গভীর জঙ্গি নেটওয়ার্কের চক্রান্ত ফাঁস হল। দিল্লি বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি মানুষ জখম হন। আজ, রবিবার ১৬ নভেম্বর দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় আমির রশিদ আলি-কে, যিনি জম্মু-কাশ্মীরের পাম্পোরের সাম্বুরা এলাকার বাসিন্দা। এই প্রথম বড় গ্রেফতার। আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ। তিনি আত্মঘাতী বোমারের সঙ্গে মিলে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনা করেন।
আমির রশিদ আলির নামের হুন্ডাই গাড়িটি রেজিস্টার্ড ছিল
তদন্তে উঠে এসেছে, হামলায় ব্যবহৃত হুন্ডাই i20 গাড়িটি আলির নামেই রেজিস্টার্ড ছিল। আলি বিশেষত দিল্লি গিয়ে গাড়িটি সংগ্রহ করেন এবং সেটিকে ভয়ংকর IED-বোমা বহনের উপযোগী করে তোলেন। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাড়িটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। চরমভাবে দগ্ধ দেহাংশের ফরেন্সিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় আত্মঘাতী হামলাকারী ছিলেন ড. উমর উন নবি (বা উমর নবি), বয়স ৩২। তিনি হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন এবং কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। তদন্তকারীরা তাঁকে 'গভীরভাবে র্যাডিক্যালাইজড' ও পুরো চক্রান্তের মূল হোতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তদন্তে কী উঠে আসছে
তদন্তে জানা গিয়েছে, গত বছর অক্টোবর থেকেই তাদের দিল্লিতে বড় হামলার পরিকল্পনা চলছিল। কুলগামের এক মসজিদে আলি 'ডক্টর মডিউল'-এর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। ড. নবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা একটি ঘরে গোপনে সদস্য তৈরি করতেন এবং উচ্চমাত্রার হতাহতের উদ্দেশ্যে বড় হামলার পরিকল্পনা করতেন। গত ১১ নভেম্বর লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের পরদিনই দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার নেয় এনআইএ (NIA)। UAPA ও -এর আওতায় মামলা রুজু করা হয়। দ্রুত তদন্তভার নেওয়া থেকেই পরিষ্কার, এটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক যোগাযোগসহ সংগঠিত জঙ্গি চক্রের অংশ।