চলছে ভোট। Image used for representational purpose | (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি: দিল্লির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আজ শনিবার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ও নাগরিকপঞ্জির (NRC) বিক্ষোভের মাঝে ৭০ আসনের দিল্লির ভোটযুদ্ধ আলাদা মাত্রা পেয়েছে। ১.৪৭ কোটি ভোটার নির্ধারণ করবেন প্রার্থীদের ভাগ্য। দিল্লিতে এবারও ত্রিমুখী লড়াই। ময়দানে আম আদমি পার্টি (AAP), বিজেপি (BJP) ও কংগ্রেস (Congress)। ৭০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আপ। এদিকে শরিকদের সঙ্গে নিয়ে লড়ছে বিজেপি ও কংগ্রেস। এদিন দুপুর ১টা অবধি ভোট পড়েছে ১৯.৩৭ শতাংশ।

এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লড়াইটা মূলত নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) -অমিত শাহের (Amit Shah) বিজেপি বনাম অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির মধ্যে। এদিন সকালে সপরিবারে ভোট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৪.৩৩ শতাংশ। এদিকে, ছেলেকে নিয়ে ভোট দিতে যান রবার্ট বডরা (Robert Badhra) এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বডরা (Priyanka Gandhi Vadra)। তাঁদের পুত্র রাইহান রাজীব বডরা এবার প্রথম ভোট দিলেন। অন্যদিকে, পূর্ব দিল্লির (East Delhi) বাবরপুরে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু পোল অফিসারের। চিত্তরঞ্জন পার্কের বুথে ভোট দিলেন দিল্লির বয়স্কতম ভোটার ১১০ বছরের বৃদ্ধা। সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ৬.৯৬ শতাংশ। ঔরঙ্গজেব রোডে পোলিং বুথ নম্বর ৮১ ও ৮২তে ভোট দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। নির্বাচন পর্ব চলাকালীন অশান্তি দেখা দিয়েছিল দিল্লিতে। বুথের বাইরে এক ব্যক্তিকে থাপ্পড় মারতে যান কংগ্রেস প্রার্থী অলকা লম্বা (Alka Lamba)। অভিযোগ, বুথের বাইরে অলকা লম্বাকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করেন ওই ব্যক্তি বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি আম আদমি পার্টির কর্মী বলেও জানা গিয়েছে। তাকে ইতিমধ্যে আটকও করেছে দিল্লি পুলিশ। আরও পড়ুন: Delhi Assembly Elections 2020: মেজাজ হারিয়ে AAP-কর্মীকে থাপ্পড় দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অলকা লম্বা

নাগরিকদের ভোটদান নিশ্চিত করতে দিল্লি পুলিশের তরফে মোতায়েন করা হয়েছে ৪০ হাজার পুলিশ, ১৯ হাজার হোমগার্ড এবং ১৯০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী। এছাড়াও যমুনায় (Yamuna) নৌকায় টহল দেওয়ার পাশাপাশি চেক ড্রাইভ এবং ফ্লাইং স্কোয়াডও রাখা হয়েছে। জল-বিদ্যুৎ-স্বাস্থ্য-শিক্ষা-মহিলাদের নিরাপত্তায় সরকারের পদক্ষেপই কেজরিওয়ালের ভরসা। অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে পক্ষে প্রচার, শাহিনবাগের আন্দোলনকে আক্রমণ করে ভোটের বাজারে, ভেসে থাকতে চাইছে বিজেপি।