নতুন দিল্লি, ৩ ডিসেম্বর: শেষপর্যন্ত চাঁদের মাটিতে ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান-২ বিক্রম ল্যান্ডারের (Vikram Lander of Chandrayaan-2) ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে নাসা (NASA)। টুইটে জানা গিয়েছে, বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষের ছবি ধরা পড়েছে নাসা-র উপগ্রহের এলআরও ক্যামেরায়। গত সাত নভেম্বর চাঁদে সুন্দরভাবে অবতরণের আগেই ল্যান্ডারের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে বিক্রমের ভেঙে পড়ার জায়গাটির ছবি প্রকাশ করে নাসা। ছবিটি তোলা হয়েছিল এলআরও (LRO) ক্যামেরায়। সেই ছবি থেকে একটি অংশকে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ বলে দাবি করেন ভারতীয় কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সুব্রহ্মণ্যম। নাসার সর্বশেষ প্রকাশিত ছবিতে সেই জায়গাটিকে ‘এস’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নাসা-র প্রকাশ করা ছবিতে নীল ও সবুজ রঙ করে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নীল রঙ দিয়ে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্রমের ভেঙে পড়া টুকরোর ধাক্কায় সরে যাওয়া চাঁদের মাটিকে সবুজ রঙ দিয়ে বোঝানো হয়েছে। আরওপড়ুন-'Women Not Safe Under BJP Rule': বিজেপির শাসনে মহিলারা নিরাপদ নন, নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে মুখ খুলে তোপ দাগলেন অখিলেশ যাদব
The #Chandrayaan2 Vikram lander has been found by our @NASAMoon mission, the Lunar Reconnaissance Orbiter. See the first mosaic of the impact site https://t.co/GA3JspCNuh pic.twitter.com/jaW5a63sAf
— NASA (@NASA) December 2, 2019
গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের (সফট ল্যান্ডিং) সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিক্রম ল্যান্ডারের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার উপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। এই বিক্রমের মধ্যেই ছিল রোভার প্রজ্ঞাণ। তখনই মনে করা হয়েছিল, চাঁদের বুকে কোথাও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিক্রম। ২২ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (Satish Dhawan space centre, in Sriharikota) থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় বিক্রম ল্যান্ডার। মহাকাশে বহুবার চক্কর কাটার পর বিক্রম তার নির্দিষ্ট লক্ষ্য খুঁজে পায় ২০ আগস্ট। সেদিনই সে চাঁদের অরবিটে ঢুকে পড়ে। চাঁদের দক্ষিণাংশে অবতরণের আগেই সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে ইসরোর সঙ্গে বিক্রমের যাবতীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর লাগাতার প্রচেষ্টায় বিক্রমের সঙ্গে ইসরোর (ISRO) যোগায়োগ স্থাপন হলেও তাতে সাফল্যের কানাকড়িও পাওয়া যায়নি। বিক্রমের পতনের জায়গাটি চিহ্নিত হয়েছিল, তবে তার থেকে কোনও সাড়াশব্দ বা প্রত্যুত্তোর মেলেনি।