পাটনা, ১ অক্টোবর : অতিবৃষ্টিতে কার্যতই দুর্ভোগে গোটা বিহার, এখনও পর্যন্ত বন্যার বলি ৪০ জন। উপদ্রুত এলাকা থেকে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারের কাজ চলছে সমানে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার করে চলেছেন। রাজধানী পাটনা-সহ বিস্তৃত এলাকা এখন জলের তলায়। ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে গতি আনার জন্যে কেন্দ্রের সহায়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi,) সঙ্গে কথা বলেছেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Chief Minister Nitish Kumar)। এদিকে অতি বৃষ্টির কারণে সমগ্র উত্তর ভারতেই মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত শুক্রবার থেকেই পরিস্থিতি চরমে উঠেছে। সেদিন গোটা বিহার জুড়েই চলেছে প্রবল বর্ষণ।
এদিকে বিপর্যয়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কেন্দ্রকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। বন্যার কারণে মানুষের মৃত্যু, ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় ত্রাণ শিবিরে এসে থাকা, বাড়ি, ঘর, সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরস। বন্যায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি। ভারত সরকারের কাছে এই সমবেদনা এসে পৌঁছেছে মহাসচিবের মুখপাত্রর হাত ঘুরে। বর্ষাকালীন বৃষ্টিতে এই যে বন্যার উপদ্রব শুরু হয়েছে, এর জেরে সবহারানো মানুষের পাশে দাঁড়াতে সর্বতোভাবে তৈরি রাষ্ট্রসংঘ। আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফের টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হতে পারে বিহার। বিশেষ করে রাজধানী পাটনার বেশিরভাগ অংশ। মূলত বর্ষাকালে খরার কারণে যে বৃষ্টি হয়নি, তাই এখন রাজ্যবাসীকে ভাসাচ্ছে। বেসিরভাগ উপদ্রুত এলাকায় জল বিপদসীমার উপর থেকে বয়ে যাওয়ার কারণে আকাশপথেই সেখানে ত্রাণ পৌঁচে দেওয়া হচ্ছে। আরও পড়ুন-টানা বর্ষণে ডুবেছে বিহার, জলবন্দি উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদিকে উদ্ধারে এল এনডিআরএফ (দেখুন ভিডিও)
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৪ সালের পর থেকে রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টি এবারই হল। গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষা বিদায় নিলেও, দেশের বিভিন্ন অংশে কিন্তু এখনও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বিহার-সহ পাটনার স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে. রাস্তাঘাট জলের তলায়। হাসপাতাল, দোকানপাট, বসতবাড়ি সর্বত্র হাঁটুজল। বর্ষার জলে আটকে পড়েছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কিমার মোদি। তাঁকে উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। একইভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান ও তাঁর বিধায়ক ছেলে চিরাগ পাসওয়ানকে পাটনার অভিজাত এলাকার বাড়ি থেকে সরিয়ে হোটেলে রাখা হয়েছে।