বেঙ্গালুরু, ৬ অক্টোবর: জামুনের বাটিতে (Jamun Bowl) মরা আরশোলা (Dead Cockroach) থাকায় ৫৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ রেস্তরাঁকে। বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) ঘটনা। এক আইনজীবী ওই রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন। সব খতিয়ে দেখে আদালত রেস্তরাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেনন। রেস্তরেঁরা মালিক এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন কিন্তু রাজ্য উপভোক্তা ফোরাম জানিয়ে দেয় যে গ্রাহককে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর গান্ধীনগরের বাসিন্দা কে এম রাজান্না এবং তাঁর বন্ধু কাপালি থিয়েটারের বিপরীতে কামাথ হোটেলে গিয়েছিলেন। তাঁরা দোসা ও জামুনের অর্ডার দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজান্না জামুনের বাটিতে একটি মৃত আরশোলা পড়ে থাকতে দেখেন। আইনজীবী যখন সেই বাটির ছবি তুলতে যান তখন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তাঁর ও হোটের কর্তৃপক্ষের মধ্যে। আইনজীবী দাবি করেন যে ওয়েটার তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আরও পড়ুন: Bonus For Railway Employees: দশেরার আগেই ৭৮ দিনের বোনাস পাচ্ছেন রেলের সাড়ে ১১ লাখ কর্মচারী
এরপর রাজান্না প্রথমে স্থানীয় থানায় এবং পরে শান্তিনগ জেলা উপভোক্তা ফোরামের কাছে কামাথ হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভেজাল বা বিষাক্ত খাবার সরবরাহ করার জন্য। ২০১৮ সালে হোটেলের কাছে নোটিশ পাঠায় উপভোক্ত ফোরাম। যদিও সেই নোটিশে কোনও গুরুত্ব দেয়নি হোটেল কর্তৃপক্ষ। এরপর উপভোক্তা ফোরামের বিচারকরা রায় দেন যে, সঠিক পরিষেবা না দেওয়ার কারণে গ্রাহককে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়াও ৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে আইনি খরচের জন্য।
কামাথ হোটেলের প্রতিনিধিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন কর্নাটক রাজ্য উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাছে। সেখানে তাঁরা দাবি করেন যে উপভোক্তা আদালতের মামলা সম্পর্কে তাঁরা অবগত নন এবং রায়ের কপি আসার পরই মামলা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাঁরা আরও দাবি করেন যে গ্রাহককে ওয়েটার আক্রমণ করেছে, এই দাবি মিথ্যা।
যাই হোক, মামলার শুনানিতে রাজ্য উপভোক্তা ফোরামের বিচারকরা পর্যবেক্ষণ করেন যে এই বিষয়ে পুলিশে মামলা করা হয়েছে এবং আইনি নোটিশও জারি করা হয়েছে। এত কিছুর পরও হোটেল কর্তৃপক্ষ এই দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। তাই জেলা ফোরামের রায় বহাল রাখা হয়।