নতুন দিল্লি, ৮ জুন: গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৬ জনের মৃত্যুর পর সোমবার ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা সাত হাজার অতিক্রম করল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী এই মুহূর্তে দেশে মৃত্যুমিছিলে শামিল ৭ হাজার ১৩৫ জন। একই সঙ্গে ভারত দেখল একদিনে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হলেন ৯ হাজার ৯৮৩ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৮১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫ জন। ভারতে করোনা সুস্থতার হার ৪৮.৩০ শতাংশ। এবং মৃতের হার ২.৮৩ শতাংশ। যা বিশ্বের মধ্যে করোনায় মৃতের হারের তালিকায় সর্বনিম্ন। তবে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৭০ শতাংশ আগে থেকেই কোনও না কোনও দুটি কঠিন রোগে ভুগছিলেন। সবমিলিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬১১।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট বলছে, ভারত বিশ্বের মধ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকায় এই মুহূর্তে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। দেশের মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত প্রায় ৮৬ হাজার। মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার। দেশের মধ্যে ২০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রয়েছে মুম্বইতেই। ভারতের বাণিজ্য নগরীতে মোট করোনা আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৫৪৯ জন। এখানে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১,৬০০ জনেরও বেশি। দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে ৩১ হাজার ৬৬৭ জন আক্রান্ত। এদিকে ২৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ রোগ। রাজধানী দিল্লিতে সোমবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়ে গেল। আরও পড়ুন-Jammu And Kashmir: সোপিয়ানে সেনা এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি, গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিকেশ ৯ জঙ্গি
কেন্দ্রের অনুমতিতে আজ থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে খুলছে শপিংমল, রেস্তরাঁ ও ধর্মস্থান (religious places)। তবে করোনা সংক্রমণের মধ্যে এসব খুলে গেলেও সেখানে কি কি করা যাবে বা যাবে না তার তালিকাও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এই তালিকা মেনে চলার দায়ভার মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, গির্জার কর্তৃপক্ষের ও ভক্তবৃন্দের। একইভাবে রেস্তরাঁ ও শপিংমলের ক্ষেত্রেও এই গাইড লাইন প্রযোজ্য। তবে হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য রাজ্যের মতো মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে শপিংমল. এবং মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বারের দরজা খুলছে না এখনই। মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে দেশজুড়ে লকডাউন থাকায় এই সব জায়গাগুলি প্রায় আড়াইমাস ধরে বন্ধ রয়েছে।