নতুন দিল্লি, ৮ এপ্রিল: দেশে করোনাভাইরাসে (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৫ হাজার ১৯৪। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭৩ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Union Ministry of Health & Family Welfare) আজ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে, ৪০২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদিকে ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লব আগরওয়াল (Lav Aggarwal) জানান যে দেশে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। তিনি বলেন, "কেবল আজ নয়, ভবিষ্যতেও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনর অভাব হবে না।"
এদিকে আজ সব রাজনৈতিক দলের সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Mod)। আগামী শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের (Coronavirus) মোকাবিলায় বুধবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্স সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, শিব সেনার সঞ্জয় রাউত, বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্র, সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদবসহ অনেকেই। আলোচনায় অংশ নেন তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। "১৪ এপ্রিলের পর লকডাউন (Lockdown) তোলা সম্ভব নয়।" সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে কোনও দিক থেকেই ১৪ এপ্রিল লকডাউন শেষ করা সম্ভব হবে না। বৈঠকে তিনি জানান যে, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন এই বিষয়ে। তবে সম্ভবত লকডাউন ১৪ এপ্রিল শেষ হয়ে যাবে বলে মনে হয় না। আরও পড়ুন: Coronavirus Lockdown: '১৪ এপ্রিলের পর লকডাউন তোলা সম্ভব নয়', সর্বদলীয় বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রী ভিডিয়ো কনফারেন্সে রাজনৈতিক দলের নেতাদের আরও বলেছেন, "ব্যাপক আচরণমূলক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত পরিবর্তন সাধন করতে হবে।" করোনাভাইরাসের আগে ও পরে জীবন একরকম থাকবে না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার থেকে প্রায় সবার জীবনেই করোনা-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অধ্যায় পৃথক ভাবে চিহ্নিত হবে। এক বিশাল সামাজিক, ব্যক্তিগত ও আচরণমূলক পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেও জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।