নতুন দিল্লি, ২৫ নভেম্বর: মেঘালয় কংগ্রেসে বড় ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল (TMC)। গতরাতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের (Meghalaya) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা (Mukul Sangma) সহ কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ১৮। ১২ বিধায়ক যোগ দেওয়ায় প্রধান বিরোধী দল হল তৃণমূল। আজ কংগ্রেসে ভাঙন ধরানোর জন্য তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।
তিনি বলেন, "কংগ্রেস ভাঙার এই ষড়যন্ত্র শুধু মেঘালয়ে নয়, গোটা উত্তর-পূর্বেই চলছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে তিনি দলত্যাগীদের প্রথমে তৃণমূলের প্রতীকে জিতিয়ে আনুন এবং তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে দলে স্বাগত জানান। এই সবই করছেন প্রশান্ত কিশোর এবং লুইজিনহো ফালেইরো। আমরা এটি সম্পর্কে অবগত ছিলাম।" অধীরের দাবি, মমতা যদি এখন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী মোদী রেগে যাবেন। ভাইপোকে ইডি তলব করার পরেই মমতার কার্যক্রমে পরিবর্তন দেখা যায়। এর আগে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ার কথা বলেন তিনি।
১৯৯৩ সালে মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনে আমপাতিগিরি কেন্দ্রে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হন মুকুল সাংমা। এরপর ১৯৯৮, ২০০৩, ২০০৮ ও ২০১৩-মোট পাঁচবার কংগ্রসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন। ২০০৯ সালে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হন। ২০১০ সালে মেঘালয়ের ১১ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন মুকুল সাংমা।
২৩ নভেম্বর তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অশোক তানওয়ার। প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মঙ্গলবার।