নতুন দিল্লি, ২ ডিসেম্বর: ইউপিএ-র (UPA) কোনও অস্তিত্ব নেই। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) সঙ্গে বৈঠকর পর একথা বলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তারপরই মমতার বিরুদ্ধে অল আউট আক্রমণে নেমেছে কংগ্রেস (Congress)। তাদের দাবি, কংগ্রেস ছাড়া ইউপিএ হল আত্মাহীন দেহ। যদিও ইউপিএ নিয়ে মন্তব্যে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prahant Kishore) সমর্থন পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ প্রশান্ত টুইটে লেখেন, "কংগ্রেস যে ধারণা এবং স্থানকে প্রতিনিধিত্ব করে, তা শক্তিশালী বিরোধীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, নেতৃত্ব দেওয়া কংগ্রেসের স্বর্গীয় অধিকার নয়, বিশেষ করে যখন দলটি গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশের বেশি নির্বাচনে হেরেছে। গণতান্ত্রিকভাবে বিরোধী নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।"
প্রশান্ত কিশোরের আক্রমণের লক্ষ্য যে রাহুল গান্ধী, তা একপ্রকার পরিষ্কার। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয়স্তরে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবার তাই আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ত্রিপুরা থেকে গোয়া, মেঘালয়, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, সর্বত্র তৃণমূল (TMC) একের পর এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। গতকাল এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা বললেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ এখন নেই। অর্থাৎ কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই জাতীয় স্তরে নতুন এক জোটের জল্পনা উস্কে দেন তিনি।
The IDEA and SPACE that #Congress represents is vital for a strong opposition. But Congress’ leadership is not the DIVINE RIGHT of an individual especially, when the party has lost more than 90% elections in last 10 years.
Let opposition leadership be decided Democratically.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) December 2, 2021
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রকাশ্যে এই বার্তা দেন, তখন থেকেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়ে জোর গুঞ্জন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে 'অল আউট অ্যাটাকের' সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় কংগ্রেস। ইউপিএ-এর অস্তিত্ব নেই বলে তৃণমূল যেভাবে শতাব্দী প্রাচীন দলের অস্তিত্ব অস্বীকার করে, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে অল আউট অ্যাটাকের সিদ্ধান্ত নিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), সোনিয়া গান্ধীরা। দলের বরিষ্ঠ নেতারাই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের রণকৌশল স্থির করবেন বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এবার লাগাতার প্রচার শুরু করতে চলেছেন রাহুল গান্ধীরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।