গুয়াহাটি, ১৫ ডিসেম্বর: অসমে (Assam) আরও দুই বিক্ষোভকারীর (protester) মৃত্যু হল। মৃতদের নাম ঈশ্বর নায়েক ও আবদুল আলিম। গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (Guwahati Medical College) তাঁদের মৃত্যু হয়। পুলিশের গুলি লেগে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার হাসপাতালের তরফে মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে। একটি বিবৃতিও জারি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ দু'জনের মৃত্যুর পর অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫। বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। বিক্ষোভকারীরা হিংসাত্মক কার্যকলাপ ও আগুন লাগানো শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা আদিবাসী নয় এমন কয়েকজনের দোকান ও বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপরই মাঠে নামে নিরাপত্তা বাহিনী।
চলমান অস্থিরতার প্রেক্ষিতে প্রশাসন মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়, তেজপুর, তিনসুকিয়া এবং অন্য শহরে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের জড়ো হওয়া আটকাতে অসমের বেশ কয়েকটি জায়গায় আজও কারফিউ জারি রয়েছে। যদিও, দিনের বেলায় এই নিষেধাজ্ঞাগুলি আংশিকভাবে শিথিল করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Internet services suspended in West Bengal নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অশান্তি চরমে, ৬ জেলায় সাময়িক বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
অসম পুলিশের ডিজি বিজে মহন্ত (B J Mahanta) বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে ফিরে আসার বিষয়ে আমি আশাবাদী। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতিও হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত অঞ্চল আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। তিনি জানান, ২ হাজারেরও বেশি সন্দেহভাজনের উপর নজর রাখা হয়েছে। শতাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (Citizenship Amendment Act) কেন্দ্র করে চলতি মাসের শুরু থেকেই প্রতিবাদে মুখর অসম। সংসদের দুই সভাতে আইনটি পাস হওয়ার পর যার তীব্রতা বেড়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এসে ভারতে বসবাস করা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অসমের আদিবাসী গোষ্ঠীগুলি এই আইনকে ১৯৮৫ সালে হওয়া 'অসম চুক্তির' লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে।