Tejashwi Yadav, Nitish Kumar (Photo Credit: Twitter/ANI)

Bihar Elections 2025: বিহারে দ্বিতীয় দফায় বেশ বড় সংখ্যায় ভোট পড়ল। মঙ্গলবার বিহারে রেকর্ড সংখ্যায় ভোট পড়ল। এর আগে বিহারে এত ভোট পড়েনি। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিহারে রেকর্ড ৬৭.১৪ শতাংশ ভোট পড়ল। এটা বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটদানের হার। গত বৃহস্পতিবার বিহারে প্রথম দফায় ভোটের হার ছিল ৬৫.০৯ শতাংশ, যা ইতিমধ্যেই 'রেকর্ড' হিসেবে উল্লেখ করেছিল নির্বাচন কমিশন। ২০২০ সালের দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের হার ছিল ৫৮.৮ শতাংশ। এদিন দ্বিতীয় দফায় এই দফায় মোট ২০টি জেলায় ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোট হয়। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ ভোটার এবং ১,৩০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ৪৫হাজার ৩৯৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়, যার মধ্যে নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার এক ডজনেরও বেশি মন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর বিহার বিধানসভায় ফলপ্রকাশিত হবে।

দ্বিতীয় দফায় অগ্নিপরীক্ষার মুখে ছিলেন নীতীশ, তেজস্বীরা

এই দফা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এনডিএ (জেডিইউ-বিজেপি)-র জন্য, যারা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। অন্যদিকে মহাগঠবন্ধন (আরজেডি-কংগ্রেস) নেতৃত্বে ছিলেন তেজস্বী যাদব, এবং প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। বারবিঘায় বিজেপি ও জন সুরাজ কর্মীদের মধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষ ঘটে। ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR)-এর আওতায় নাম বাদ যাওয়া নিয়ে কিছু অভিযোগ আসে।

সবচেয়ে বেশি আর কম ভোট কোথায় পড়ল

এদিন বিহারে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়া জেলাগুলি হল- কিশনগঞ্জ: ৭৬.২৬ শতাংশ, কাটিহার ৭৫.২৩ শতাংশ, পূর্ণিয়া: ৭৩.৭৯ শতাংশ, সুপৌল ৭০.৬৯ শতাংশ, পূর্ব চম্পারণ: ৬৯.০২ শতাংশ। কম ভোট পড়া জেলা: নবাদা: ৫৭.১১% (সবচেয়ে কম।

এছাড়া আরারিয়া (৬৭.৭৯%), ঔরঙ্গাবাদ (৬৪.৪৮%), ভাগলপুর (৬৬.০৩%), গয়া (৬৭.৫০%) এবং জামুই (৬৭.৮১%) জেলায়ও ভাল ভোট পড়েছে।

এক্সিট পোলে জয়জয়কার মোদী, নীতীশ, চিরাগের

দেশের বিভিন্ন বেসরকারি নির্বাচনী গবেষণা সংস্থার এক্সিট পোল অনুযায়ী, বিহারে নরেন্দ্র মোদী- নীতীশ কুমার যুগলবন্দির যুগলবন্দির জয়জয়কার হতে চলেছে। এক্সিটপোলগুলির গড় হিসাব বলছে বিহারে ২৪৩ বিধানসভা আসনের মধ্যে এনডিএ ১৩৩ থেকে ১৬৭টি আসনে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর, শুক্রবার।