Babul Supriyo: 'সিএএ-এর উপজীব্য সঠিকভাবে না বুঝলে আমি রাহুল গান্ধিকে সিএএ-এর একটা ইতালিয়ান কপি পাঠাব' বিতর্ক বাড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়
বাবুল সুপ্রিয় (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৫ জানুয়ারি: দেশজুড়ে নাগরিক আইন (CAA) পাশ হয়েছে চলতি মাসের ১০ তারিখ। তার আগে পরে সিএএ বিরোধীদের বিরোধিতার মু-তোর জবাব দিয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। ফের আর একবার এই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। বাক্যবাণে বিঁধলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি থেকে সিএএ বিরোধী বাম নেতাদের। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সিএএ বিরোধী এই সব নেতাদের উদ্দেশ্য করে বাবুল বলেন, "সিএএ-এর উপজীব্য সঠিকভাবে না বুঝলে আমি রাহুল গান্ধিকে সিএএ-র একটি ইতালিয়ান কপি এবং বাম নেতাদের একটি চিনা কপি পাঠাব।"

বাবুল এদিন আরও বলেন, এই আইনের মাধ্যমে সেই সব পাকিস্তান-বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব (Citizenship) প্রদানের চেষ্টা করছে যারা এই সমস্ত দেশগুলিতে থেকে নিপীড়ন ও নৃশংসতার শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। ছত্তিসগড়ের দুর্গ জেলায় আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাবুল বলেন, সংসদে পাস হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গঠন করা হয়নি। তিনি বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২০০৫ সালে প্রতিবেশী দেশে কাঁচা চুক্তি করে ভারতে আসা বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী এবং জওহরলাল নেহেরু উভয়ই বিদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হয়ে ভারতে আগত মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেছিলেন। আর এখন অবহেলিত মানুষদের রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তবায়িত করে দেখালেন। আরও পড়ুন: Yogi Adityanath: ‘এদেশে মুসলিমরা বিশেষ সুযোগ সুবিধা পেয়ে জনসংখ্যায় বেড়েছে,’ বললেন যোগী আদিত্যনাথ

 

যদিও বাবুলের এহেন ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে (Rahul Gandhi)। প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়নি কোনও বাম নেতাকেও। উল্লেখ্য, এর আগেও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) নিয়ে বাবুল বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বহুবার। এমনকী তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন আইন সম্পর্কে "মিথ্যা প্রচার" (Propaganda) ছড়ানো থেকে দেশে "নৈরাজ্য" সৃষ্টির অভিযোগও এনেছেন। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) এবং বাম দলগুলির বিরুদ্ধে সিএএ নিয়ে জনগণকে "বিভ্রান্ত" করার অভিযোগ এনেছিলেন কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী।