মুম্বই, ১৯ অক্টোবরঃ এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের (Baba Siddique Murder Case) সঙ্গে জড়িত আরও ৫ জনকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মুম্বইয়ের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। তদন্ত চলাকালীন ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ধৃতদের ফোন থেকে মিলল বাবার ছেলে জিশান সিদ্দিকির (Zeeshan Siddique) ছবি। অভিযুক্তদের পরের নিশানা কি তাহলে জিশান ছিল! স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে ধৃতরা সেই ছবি নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করেছিল। এও জানা গিয়েছে, স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমেই চক্রী এবং অভিযুক্তরা বার্তা বিনিময় করত।
১২ অক্টোবর বিধায়ক ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে গুলি করে খুন করা হয়েছে এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে। এই ঘটনা ঘিরে নিরাপত্তাজনিত নানা প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Mumbai Crime Branch) এনসিপি নেতার তিন দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠায়। তাঁদের মধ্যে দুজন ঘটনায় দিন বাবার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতী দ্বারা শ্যুট অউটের সময়ে তাঁর সঙ্গে কেবল একজন দেহরক্ষীই ছিলেন। সেই পুলিশ নিরাপত্তারক্ষী কনস্টেবল শ্যাম সোনাওয়ানেকে এবার সাসপেন্ড করল মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)।
মুম্বই পুলিশের তরফে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন নেতার জন্যে ‘2+1’ সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে দুজন দিনের বেলায় বাবা সিদ্দিকির নিরাপত্তার দিকটি দেখতেন। বাকি একজন রাতের দায়িত্বে থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ অক্টোবর পূর্ব বান্দ্রায় ছেলে জিশানের অফিসে এসেছিলেন বাবা সিদ্দিকি। সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে দুজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি যখন ছেলের অফিস থেকে বের হন তখন তাঁর সঙ্গে কেবল শ্যাম ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে খুন করে ৬৬ বছরের বাবা সিদ্দিকিকে। শ্যাম ব্যর্থ হন আততায়ীদের ঠেকাতে। ওই সময়ে সিদ্দিকির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অপরজন নিরাপত্তাকররী কেন সঙ্গে ছিলেন না সেই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ চলছে।