চারাইদেও, ১৪ এপ্রিল: মারণ ভাইরাস করোনার সংক্রমণ (coronavirus lockdown) রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই সময় রাজ্যের দিন আনি দিন কাই মানুষ গুলির মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে অসমের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা। সবার জন্য খাবার, এই স্লোগানকে সামনে রেখে আসরে নেমেছেন অসমে পুলিশ কর্তারা। লকডাউনের প্রথম দিন থেকে নিম্নবিত্ত দরিদ্র সাধারণের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের চারাইদেও জেলার আট জায়গায় ঘরহারা, সহায়সম্বলহীন, ভবঘুরে ভিক্ষুকদের খাবার দেওয়া চলছে। ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট বলছে, এই প্রকল্পের অধীন চারাইদেওর পুলিশ এখনও হাজার মানুষকে লকডাউনের বাজারে খাবার দিতে পেরেছে।
এক সাক্ষাৎকারে চারাইদেও জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, “রাস্তায় থাকা মানুষগুলো এই সময় খেতে পাচ্ছে না। যারা লকডাউনের বাজারে খাবারের জন্য সংগ্রাম করছেন। তাঁদের জন্যই সবার জন্য খাবার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জেলার আটটি জায়গায় আমরা তাঁদের খাবার দিচ্ছি নিয়মিত।”লকডাউনের বাজারে দরিদ্র সাধারণের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে গুয়াহাটি পুলিশও। অসমে এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। রাজ্যে করোনার বলি একজন। আরও পড়ুন-Goa CM Pramod Sawant: ১ জনও করোনা আক্রান্ত নেই, দক্ষিণ গোয়াকে গ্রিন জোন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত
এদিকে আজই ১০ হাজার অতিক্রম করে গেল ভারতে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে সবমিলিয়ে দেশে মোট করোনা পজিটিভের সংখ্যা ১০ হাজার ৩৬৩। ৮ হাজার ৯৮৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১,০৩৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এখনও পর্যন্ত ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজনের দেহ বিদেশে স্থানান্তর করা হয়েছে। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মহামারী করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউনকে বাড়ানো হল। এই দেশজুড়ে একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লকডাউনে অর্থনীতির দফারফা। তবে মানুষের প্রাণের কাছে তা মূল্যহীন। এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) বলেন, “লকডাউনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আমরা জীবন বাঁচাতে সঠিক পথই বেছে নিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনে থেকে আমাদের দেশ অনেকটাই উপকৃত হয়েছে। অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই লকডাউন পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে ব্যয়বহুল। তবে ভারতীয় নাগরিকদের জীবনের মূল্যের কাছে তা কিছুই নয়।”