নতুন দিল্লি, ৩ অক্টোবর: আগামী কাল অর্থাৎ চার অক্টোবর অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সঙ্গে করে নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর মিছিল করে আসবে পাক সেনা বাহিনী। এই খবর মিলতেই চূ়ড়ান্ত সতর্কতা জারি করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুসারে জানা যাচ্ছে, ৩৭০ ধারা (Article 370) তুলে নেওয়ার বিরোধিতা করতেই এই মিছিল হবে। তবে পাক সেনার (Pakistani troops) এহেন মিছিলকে গোড়াতেই বিফলে পাঠাতে পুরোপুরিভাবে তৈরি রয়েছে ভারতীয় সেনা।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা যেই না জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হল তখনই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য থেকে শুরু করে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে পারে এমন সবকিছুই বন্ধ হয়ে গেল। সমঝোতা এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ হল, থর এক্সপ্রেসেরও একই হাল হল। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠাল ইসলামাবাদ। ইমরান খান পুলওয়ামার ধাঁচে হামলার হুমকি দিলেন। চিনকে পাশে নিয়ে শুরু হল ষড়যন্ত্রের ছক কষা। আমেরিকার কাছে গিয়ে কাঁদুনি গাইলেন ইমরান খান, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমবার দিল্লি চুপ করে থাকলেও দ্বিতীয়বারের প্রস্তাব আসার সঙ্গে সঙ্গে গেল প্রত্যুত্তোর। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এতে পাকিস্তানের উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই। আর কাশ্মীর ইস্যু মিটিয়ে ফেলতে দুটি দেশের মধ্যে আলোচনাই যথেষ্ট বাইরের কারও নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ফের কাশ্মীর ইস্যুকে মুখ্য করে তোপ দাগলেন ইমরান খান। তাতেও বহির্বিশ্বে তেমন বড় কোনও প্রতিবাদ খাড়া করতে পারলেন না। আরও পড়ুন-ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের আমন্ত্রণ, নানকের জন্মদিবসে করতারপুর যাচ্ছেন মনমোহন সিং নরেন্দ্র মোদি ও রামনাথ কোবিন্দ
Top Indian Army sources:Pakistan Army has planned a march involving locals from Kashmir to Line of Control (LoC) on Oct4 to create disturbances on abrogation of Article370. Indian Army fully prepared to foil Pakistan Army sponsored march of locals from Pak occupied Kashmir to LoC pic.twitter.com/I5aucppmvL
— ANI (@ANI) October 3, 2019
এরমধ্যে কাশ্মীরকে ব্যতিব্যস্ত রাখতে মুজাফ্ফরাবাদ-লাগোয়া এলাকায় পাক সেনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন লঞ্চপ্যাডে অপেক্ষা করছে পাক জঙ্গির দল। তাদের প্রশিক্ষণ থেকে অস্ত্রশস্ত্র যাবতীয় সহযোগিতা করছে পাক সেনা। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার সীমান্ত টপকে এপারে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় সেনার গুলি ও তাড়া খেয়ে ফের ওপারে ফিরে গিয়েছে। কিন্তু ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে পাঞ্জাব, রাজস্থান-সহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ঢুকিয়েছে পাকিস্তান। তবে চেষ্টা করেও কাশ্মীরকে কাজে লাগাতে পারছে না। ইন্দো-পাক সীমান্তে প্রায় ২০টি প্রবেশদ্বার রয়েছে। প্রতিটিতেই অনুপ্রবেশ আটকাতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা। যা টপকে জীবিতাবস্থায় পাক জঙ্গিদলের ভারতে অনুপ্রবেশ কোনওমতেই সম্ভব নয়।