নয়াদিল্লি : আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম (Dr. Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam) যিনি এ.পি.জে. আব্দুল কালাম নামে পরিচিত। তিনি ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন (11th President of India)। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল, এই পাঁচ বছর ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে ছিলেন আব্দুল কালাম, তিনি ভারতের তৃতীয় মুসলিম রাষ্ট্রপতি। তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী আটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মি. কালাম। আজ এপিজে আব্দুল কালামের মৃত্যুবার্ষিকী (Death Anniversary)। ২০১৫ সালে ২৭ জুলাই শিলংয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন, সেদিন ৮৩ বছর বয়সে শিলংয়ের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কালাম তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে বড় হয়ে ওঠেন। তিনি শুধুমাত্র একজন মহান রাষ্ট্রপতিই ছিলেন না, একজন বিস্ময়কর বিজ্ঞানীও ছিলেন। যাকে আমরা সবাই মিসাইল ম্যান নামে চিনি। তিনি বিজ্ঞান এবং মহাকাশের ক্ষেত্রে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন, যে কারণে তাঁকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ভারতরত্ন দেওয়া হয়। তিনি তাঁর জীবনের প্রায় চল্লিশ বছর প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন : Video: বিজ্ঞানীদের নিয়ে মাঝ সমুদ্রে দিশা হারায় জাহাজ, উদ্ধার উপকূলরক্ষী বাহিনীর, দেখুন ভিডিয়ো
আজ ডক্টর এপিজে আব্দুল কালামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে, তাঁর কিছু চিন্তাভাবনা তুলে ধরা হল, যা আপনার জীবনে সাফল্য অর্জনে সাহায্য করতে পারে। দেখুন-
একটি ভালো বই হাজার বন্ধুর সমান, যদিও একজন ভালো বন্ধু একটি লাইব্রেরির সমান।
তরুণদের কাছে আমার বার্তা হল ভিন্নভাবে চিন্তা করুন,নতুন কিছু চেষ্টা করুন, সর্বদা আপনার নিজের পথ তৈরি করুন এবং অসম্ভবকে অর্জন করুন।
স্বপ্ন সেটা নয় যা তুমি ঘুমিয়ে দেখো, স্বপ্ন সেটাই যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।
আপনার কাজে সফল হতে হলে আপনাকে মনোনিবেশ করতে হবে, আপনার লক্ষ্যে ফোকাস করতে হবে।
শীর্ষে পৌঁছতে শক্তি লাগে, সেটা মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া হোক বা আপনার পেশা।
আপনি যদি সূর্যের মত আলোকিত হতে চান, তবে প্রথমে সূর্যের মতো পুড়ুন।
একজন শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য হল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা, তাই শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে বাধা দেওয়া উচিত নয়।
জীবন ও সময় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দুই শিক্ষক। জীবন আমাদের সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শেখায়।