চিন (Photo Credits: Twitter)

কটক, ৬ মার্চ: করোনার গ্রাসে আতঙ্কের প্রহর গুনছে বিশ্ব। ত্রস্ত ভারতও। দিল্লিতে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। তারপর একে একে জয়পুর, আগ্রা, তেলেঙ্গানা, হয়ে ওড়িশা। কয়েকদিন আগেই পারাদ্বীপের কার্গো জাহাজের এক ক্রু মেম্বারকে করোনা আক্রান্ত (Coronavirus) সন্দেহে কটক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই এক আইরিশ নাগরিককে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের পর তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ মিলতেই তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তবে বিপদ যখন মাথার উপরে চলে আসে তখন তা আটকানো দুস্কর। গতকাল রাতেই আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে বেপাত্তা হয়েছেন ওই রোগী।

সকালবেলা খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওড়িশার কটক শহরের একটি সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল এই আইরিস নাগরিককে। সর্দি-জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গীকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় মঙ্গলাবাগ থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তা বি মহারাণা জানান, বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের পর সন্দেহ হওয়াতেই তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট আসেনি। তবে তিনি একা নন, সঙ্গীকে নিয়েই বেপাত্তা হয়েছেন। ঠিক কখন কীভাবে দুজনে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে উধাও হলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। আরও পড়ুন- Coronavirus In Delhi: দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত ১, করোনাভাইরাস জর্জরিতর সংখ্যা ছাড়াল ৩১

অন্যদিকে কানপুরের যে দম্পতি সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে পারাদ্বীপে এসেছিলেন। তাঁদেরও আটক করে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছিল। দুজনের রক্তের রিপোর্টে করোনাভাইরাসের জীবাণু মেলেনি। তবে আরও এক সপ্তাহ তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হবে। শোনপুর জেলার এক ব্যক্তিকে ২৭ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে ফেরার পরই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি।