করোনাভাইরাস(Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ৬ মার্চ: ফের একজন করোনা (coronavirus) আক্রান্তের সন্ধান মিলল রাজধানীতে। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব সঞ্জিভা কুমার জানান, রাজধানীর উত্তম নগরের ওই বাসিন্দার শরীরে সিওভিআইডি-১৯ এর প্রমাণ মিলেছে। তাঁকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি  থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। শুক্রবার সবমিলিয়ে ৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। রাজস্থানে এখন সবথেকে বেশি আক্রান্ত রয়েছে। তারমধ্যে বছর দুয়েকের এখ শিশুপুত্রও জ্বর ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সম্প্রতি মায়ের সঙ্গে দুবাই থেকে জয়পুরে ফিরেছে সে। প্রতিঘণ্টায় সংক্রমণের তীব্রতা বিশ্বজুড়ে মানুষের মনে ভয় ও আতঙ্কের সঞ্চার করে চলেছে করোনাভাইরাস।

ভারতের জনগণও এখন করোনা আতঙ্কে দিশেহার। চলতি সপ্তাহের শুরুতে দিল্লির যে বাসিন্দা ইটালি থেকে ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। তাঁর শরীরে সিওভিআইডি-১৯ এর প্রমাণ মিলতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এদেশেও। আতঙ্কের জেরে নয়ডার দুটি স্কুলে দুদিনের জন্য তালাও পড়েছিল। দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত বাচ্চাদের আপাতত ছুটি ঘোষণা হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ছুটি চলবে। সংক্রমণ প্রতিরোধেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরিওয়ালের সরকার। করোনার আতঙ্কে কাঁটা রাজধানীতে এবার রঙের উৎসব হোলি নিয়ে কোনও মাতামাতি হচ্ছে না। যতসব পরিকল্পনা ছিল তা একে একে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ অনেকেই হোলির অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে করোনার প্রকোপে যবুথবু বৃন্দাবনেও এবার হোলি কেন্দ্রিক কোনও উৎসব হবে না। আরও পড়ুন- YES Bank Crisis: ইয়েস ব্যাংকের গ্রাহকরা এ মাসে ৫০ হাজার টাকাই তুলতে পারবেন, আরবিআই-এর নির্দেশিকায় ছড়াল আতঙ্ক

এই আতঙ্কের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ রোধে এখন যতটা পারা যায় অনুষ্ঠান, ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলাই মঙ্গলের। যদি এমন কোনও অনুষ্ঠান হয়েও থাকে তবে রাজ্যের উচিত সেখানে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা, বা অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া। গতকাল সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন জানান, ৩০ জনের শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে। তারপরেও মন্ত্রী বলেন, জনগণের এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। সরকার পরিস্থিতির উপরে নজর রেখেছে। শুক্রবার চিনে ৩ হাজার ৪২ জনের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। আর বিশ্বজুড়ে সংক্রামিতর সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৫২ জন।