শ্রীনগর, ২২ জুন: নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ শুরু করল পাকিস্তান। এই ঘটনায় শহিদ হয়েছেন এক ভারতীয় সেনা জওয়ান (Army jawan)। সোমবার সকাল থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টর ও রাজৌরির নওশেরা সেক্টর লক্ষ্য করে গুলি গোলা চালাতে শুরু করে পাক সেনা। সাত সকালে নিয়্ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে আসা এই আচমকা হামলার জবাব দিতে কাল বিলম্ব করেনি ভারতীয় সেনা। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪০০ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ৩,১৬৮ এবং তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে পাকিস্তান ১,৬২৯ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে। গত চার মাসে পুলিশি অভিযানে খতম হয়েছে কাশ্মীরের মুখ্য চারটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রধানরা।
এদিনও ফের হামলা চালায় পাকিস্তান।প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সোমবার ভোর ৩.৩০ নাগাদ পুঞ্চের কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। জানানো হয়েছে, 'নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় মর্টার শেল ছুঁড়ে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় বাহিনীও। এরপর ভোর ৫.৩০ নাগাদ রাজৌরির নওশেরা সেক্টরে ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। সেখানে দু পক্ষের মধ্যে চলে প্রবল গুলিবর্ষণ। আরও পড়ুন-West Bengal: 'বিজেপি ক্ষমতায় এসে বদলা নেবে', দিলীপ ঘোষকে সন্ত্রাসবাদী বললেন ফিরহাদ হাকিম?
সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের পাচার করারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। চুপ করে নেই ভারতীয় সেনাও। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমনে সাম্প্রতিক সময়ে বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন রাজ্য কাশ্মীরের প্রধান চারটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হল লস্কর-এ-তৈবা, জৈশ-এ-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদ্দিন এবং আনসার গজওয়াত-উল হিন্দ। উপত্যকায় অধিকাংশ নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য মূলত এরা দায়ী। সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসবাদ দমনে অভিযানের মাত্রা অনেক জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাতেই আসে এই সাফল্য।