প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৭ মার্চ: মহামারী করোনাকে রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে দেশবাসী ও চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীরা। এনিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রীরা বার বরা বাহবা দিয়েছেন। চলেছে প্রচার। তবে নতুন বছরে তিনটে মাস গড়াতে না গড়তেই ফের স্বমহিমায় মারণ রোগ কোভিড-১৯। হু হু করে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। মহারাষ্ট্রের লাগামছাড়া সংক্রমণে রাজ্য প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। গুজরাটের অবস্থাও উদ্বেগজনক। চিন্তা বাড়াচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ ও কেরালা ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পাঠানো পর্যটক দেলর রিপোর্ট বলছে, মহারাষ্ট্রে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। রাজ্যবাসী যাতে কোভিড বিধি অক্ষরে অক্ষরে মানে সেজন্য উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতি নিয়েই আজ বেলা বারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে করবেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-আক্রান্ত হয়েছেন ২৪,৪৯২ জন। তার মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি মহারাষ্ট্রেই। বিশেষ পর্যবেক্ষক দলের রিপোর্ট অনুযায়ী কোভিড রোগীদের চিহ্নিত করা, পরীক্ষা করানো এবং আক্রান্তদের পৃথক করে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের গাফিলতি ছিল। মহারাষ্ট্রের মৃত্যুহারও কেন্দ্রকে উদ্বেগে রেখেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ঔরঙ্গাবাদের মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যুহার ১১ শতাংশ। নাসিকের বসন্ত রাও পাওয়ার মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যুহার জানুয়ারিতে ছিল ১৮ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে ৩১ শতাংশ। সে কারণে ওই এলাকায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের সামগ্রিক জিনোম সিকোয়েন্স করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ‘ডেথ অডিট’ শুরু করতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। আরও পড়ুন-Dilip Gandhi Dies: করোনার কাঁটা, প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দিলীপ গান্ধী

সংক্রমণ রুখতে গুজরাটে অনুষ্ঠিত ভারত ইংল্যান্ড ম্যাচে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে ভোপালে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। আজ রাত ১০টা থেকে সেখানে নাইট কার্ফিউ শুরু হয়েছে। ভোপাল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র থেকে আগতদের আবশ্যিক ভাবে যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে করোনার আরটিপিসি-আর টেস্ট করাতে হবে। যাঁরা ৩-৪ দিন শহরে রয়েছেন, তাঁদেরও আলাদা করে করোনা পরীক্ষা করা হবে।