Kachori. (Photo Credits: Pixabay)

আলিগড়, ২৫ জুন: গরম-গরম, ফুলকো- ফুলকো কচুরি। পাতে কটা পড়লেই জিভে জল এসে যায়। আর সেই কচুরি- রাস্তার ধারে ছোট্ট একটা দোকানে বিক্রি করেই বছরে ৬০-৮০ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের মুকেশ। চমকে যাবেন না, বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু গড়েই কচুরি বেচে এখন মুকেশ কোটিপতি হওয়ার পথে। স্থানীয় এক সিনেমা হলের সামনে তাঁর নিজের নামের দোকান ('‘Mukesh Kachori')-এ কচুরি বিক্রি করে মুকেশ গত বছর প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা রোজাগর করেছে। সকাল থেকে রাত-টানা বিক্রি চলে।

মুকেশের স্পেশাল কচুরি কিনতে স্থানীয়রা তো তো বটেই, দূর থেকেও মানুষ আসে কিনতে। মুকেশের স্পেশাল কচুরি-র জন্য কিনতে খুব বেসি টাকা খরচ হয় না। রাস্তার ধারে আর পাঁচটা কচুরি দোকানের মতই তাঁর দর। কিন্তু স্বাদের জাদুতে বেঁধে কচুরি বিক্রেতা মুকেশ এখন কোটিপতি হল বলে। আরও পড়ুন-মধুচক্রের ফাঁদ ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে

আলিগড়ের সীমা নামের এক সিনেমা হলের বাইরেই মুকেশের কচুরির দোকানের রোজগার দেখে আয়কর দফতরের কর্তাদের সন্দেহ হয়েছে। কচুরির পাশাপাশি মুকেশ সিঙ্গারা-ও বিক্রি করেন। তবে তাঁর দোকানে মূলত কচুরিই বেশি বিক্রি হয়। একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মুকেশের রোজগার খতিয়ে দেখে আয়কর দফতরের কর্তারা বুঝতে পারেন এই কচুরী বিক্রেতার রোজগার ৬০-৮০ লক্ষ টাকার মত। আয়কর দফতরের নোটিশও পেয়ে গিয়েছেন মুকেশ। নোটিশের প্রধান কারণ অবশ্য মুকেশের দোকান GST-র অন্তর্ভুক্ত নয়, এবং সে কোনও টাকা কর দেয়নি।

নোটিশ পাওয়ার পর মুকেশ জানায়, সে গত ১২ বছর ধরে এই কচুরি-র দোকান চালাচ্ছে। কখনও কচুরি, সিঙ্গারা-র মানের সঙ্গে আপোস না করে সেরা স্বাদ ক্রেতাদের মুখে তুলে দেওয়াতেই তাঁর দোকান ভাল চলছে। তার মত সাধারণ মানুষ কর দেওয়ার বিষয়টি সঠিকভাবে জানে না। সে নোটিশ পেয়েছে, এবার নিয়ম মত সব করের টাকা সে মিটিয়ে দেবে।

প্রসঙ্গত, ব্যবসায় ৪০ লক্ষ টাকা বা তার ওপর টার্ন ওভার থাকলে জিএসটি আওতাভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। খাবারের মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ কর দিতে হবে মুকেশকে। কিন্তু সে সব তো পরের কথা। আসল হল, কচুরি বিক্রি করেও যে কোটিপতি হওয়া যায় তার পথ দেখাল আলিগড়ের মুকেশ।