নতুন দিল্লি, ১৮ নভেম্বর: আজ থেকেই প্রাক্তন প্রধান বিচরপতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেলেন রঞ্জন গগৈ। একই সঙ্গে সোমবার দেশের ৪৭ তম প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) হিসাবে শপথ নিলেন শরদ অরবিন্দ বোবদে (Sharad Arvind Bobde)। রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ। তাঁরই মতো বর্তমান প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের কার্যকালের মেয়াদ ১৭ মাস। ২০২১-এর ২৩ মে অবসর নেবেন প্তধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে।প্রধান বিচারপতি বোবদে মহারাষ্ট্রের এক আইনজীবী পরিবারের সদস্য। তাঁর বাবা ছিলেন বিখ্যাত অ্যাডভোকেট অরবিন্দ শ্রীনিবাস বোবদে।
উল্লেখ্য, নাগপুরে ১৯৫৬ সালের ২৪ এপ্রিল শরদ অরবিন্দ বোবদের জন্ম হয়। তিনি নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস ও এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে মহারাষ্ট্রের বার কাউন্সিলে অ্যাডভোকেট হিসাবে তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়। সিনিয়রিটির বিচারে বোবদেকে প্রধান বিচারপতির পদে নিয়োগ করা হয়েছে।তাঁর নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সেই সুপারিশে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তারপর আইনমন্ত্রক থেকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে তাঁর নাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: মানুষ কী করে শ্বাস নেবে, রাজধানীতে এয়ার পিউরিফায়িং টাওয়ার বসাক কেন্দ্র; পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের
#WATCH Delhi: Justice Sharad Arvind Bobde takes oath as the 47th Chief Justice of India. He succeeds Justice Ranjan Gogoi. pic.twitter.com/Spb5Eys5KS
— ANI (@ANI) November 18, 2019
শোনা যায়, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে একসময় যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। তিন সদস্যের এক ইন হাউস প্যানেল তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করে। সেই প্যানেলেরও সদস্য ছিলেন বিচারপতি বোবদে। অপর দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র। তবে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের সদস্য হিসাবে বোবদে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের যে বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায় দেয়, তিনি তার সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চেরও সদস্য ছিলেন তিনি। সেই বেঞ্চ রায় দেয়, সংবিধানে ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।