নয়া দিল্লি, ৫ অগাস্ট: বড় অশান্তির আশঙ্কায় জম্মু-কাশ্মীর এখন নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ভূ স্বর্গের নিরাপত্তায় আরও সেনা পাঠানো হচ্ছে। দেশজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লি মেট্রোয় বড় রকম সর্তকতা জারি হয়েছে। আৎ এসবই হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা-কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর উপত্যকা জুড়ে থমথমে ভাব।
১৪৪ ধারা জারি রয়েছে রাজ্যজুড়ে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি-দের মত দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজনৈতিক নেতারা গৃহবন্দি। কিন্তু এরপরেও অশান্তির আশঙ্কায় আরও ৮ হাজার সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার।
এর আগে ১০০ কোম্পানির পর কাশ্মীরে আরও ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ভূস্বর্গে বজ্র আটুনি। বাড়তি ১০০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যে ফে ২৫,০০০ জওয়ানকে কাশ্মীরে পাঠাল কেন্দ্র। আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই বাহিনী কাশ্মীরে পৌঁছতে শুরু করেছে। উপত্যকার বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
। আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীর আর রাজ্য নয়, দু ভাগ হয়ে ভূ স্বর্গ হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, ৩৭০ ধারা রদ
কাশ্মীর নিয়ে সংসদে এমনই বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজ্যসভায় সংশোধিত কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল পেশ করে অমিত শাহ জানালেন, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে রাজ্যের পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিলেন। ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়।