মুন্নারে ভূমি ধস (Photo Credits: ANI)

কেরালা, ৭ আগস্ট: টানা কয়েকদিন ধরে লাগাতার ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত সমগ্র কেরালা। শুক্রবার সকালে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা, বৃষ্টির জেরে ধস নামল মুন্নারের রাজমালা এলাকায়। সেখানকার ইদুক্কি জেলায় এই মর্মান্তিক ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। জলের তোড়ে ভাসমান ১০ জনকে কোনওক্রমে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আসরে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। তিনি জানিয়েছেন, ভূমি ধসের জেরে অনেকগুলি বাড়ি চাপা পড়েছে। সেখানে বহু মানুষের আটকে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই আটক বাসিন্দাদের উদ্ধারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নেমে পড়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাজমালার দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ, দমকল ও বনদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা। মূলত উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্যই তাঁদের ঘটনাস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

টানা বর্ষণে মুন্নারের চা বাগানে ধস নেমেছে। প্রায় ২০টি বাড়ি চাপা পড়েছে। চা বাগানের প্রচুর কর্মী মাটির তলায় চাপা পড়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত তিনদিন ধরেই গোটা এলাকায় এক নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। ভারী বৃষ্টির জেরে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। এ দিন সকালে কন্নন দেবন এস্টেট ও তার সংলগ্ন এলাকায় প্রবল ধস নামে। চাপা পড়ে যায় কয়েকটি বাড়ি। অন্তত ৮৩ জনের আটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ধসে চাপা পড়ে তিন জনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা বলেছেন, প্রতি বছর এই সময়েই শৈল শহর মুন্নারে প্রবল বৃষ্টিতে ধস নামে পাহাড়ি এলাকায়। জলের তোড়ে ভেসে যায় বাড়িঘর। এবারও তাই হয়েছে। মাটি চাপা পড়ে গেছে কয়েকটি বাড়ি। খোঁজ মিলছে না অনেকের। আরও পড়ুন-PM Modi At NEP Conclave: ‘দেশের যুব সমাজের ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করবে নয়া শিক্ষানীতি’, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

রাজমালায় ভয়াবহ ভূমিধস

অন্যদিকে ওয়ানাডের পুথুমালায় বন্যার জলে ভেসে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর। মেপ্পাডি অঞ্চলে কাদার ধস নেমে অনেকের আটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ৪৪ টি নদীর মধ্যে অর্ধেকের জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। অনেকগুলি বাঁধও ভরে গিয়েছে। নিলাম্বুর, ইরিত্তি, কোট্টায়ুর এবং পাহাড়ের ওপরে মুন্নার অঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগগির উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য অকুস্থলে পৌঁছাবে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার।