আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার (Air India Flight Crash) এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও সিভিল হাসপাতালের মর্গে চলছে দেহ সনাক্তকরণের কাজ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, যাত্রী ও হোস্টেলে বিমানটি ভেঙে পড়ার কারণে মৃত্যু হয়েছিল ২৭০ জনের। এর মধ্যে ২৪১ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী ছিলেন। যাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৪৭ জনের দেহ সনাক্ত করা গিয়েছে। এদের মধ্যে ২৩২ জনের মরদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের পরিবারের কাছে। এখনও কিছু দেহ সনাক্তকরণের কাজ চলছে। এবং কিছু দেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে, শনিবার এমনটাই জানালেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এখন দেহ হস্তান্তরের কাজ অব্যাহত রয়েছে
বিমান দুর্ঘটনায় ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনের দেহ কার্যত জ্বলে পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছিল। দেহ থেকে জামা কাপড় বা সিট কভার আলাদা করে নমুনা সংগ্রহ করতে দিনরাত এক হয়ে গিয়েছে চিকিৎসকদের। তারপর সেখান থেকে ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা এবং ২৪১ জন যাত্রীর পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করে তা মেলানো নিঃসন্দেহে সময়সাপেক্ষ কাজ ছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা এখনও তা করে যাচ্ছে। মর্মান্তিক এই বিমান দুর্ঘটনায় মাত্র একজন যাত্রী বেঁচে ফিরে এসেছেন।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা
গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ এয়ারপোর্ট থেকে দুপুর ১টা ৩৮ নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ লন্ডনগামী বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার কয়েক মিনিটের মাথায় জনবহুল এলাকা মেঘানিনগরের একটি মেডিকেল হোস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় অনেক পড়ুয়াই তখন হোস্টেলে ছিলেন। কেউ কেউ আবার ক্যান্টিনে বসে মধ্যাহ্নভোজন করছিলেন। সেই সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে।