বলরামপুর, ১ অক্টোবর: হাথরাসের নির্যাতিতার অপমান, মৃত্যু, জোর করে সৎকার। এই শক এখনও টাটকা। দেশজোড়া নিন্দার মধ্যেই বুধবার রাতে উত্তরপ্রদেশের আর এক দলিতকন্যার মৃত্যু সামনে এল। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বলরামপুরের বছর বাইশের এই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে গণধর্ষণের জেরে। হাথরাসের দলিত যুবতীর গণধর্ষণের ঘটনায় যোগীর পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠলেও বলরামপুরের ক্ষেত্রে একই ভুল তারা করেনি। গণধর্ষণে মূল দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছেন, বলরামপুর জেলার নির্যাতিতা যুবতী বেসরকারি এক সংস্থায় কাজ করতেন। ধর্ষকদের পৈশাচিক অত্যাচারের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়। বলরামপুরের পুলিশ সুপার দেবরঞ্জন বর্মা এদিন জানান, কৈসরি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
নির্যাতিতা পরিবারের সদস্যরা জানান, “মেয়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। মঙ্গলবার রাতে মেয়ের বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায়, তাঁরা দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। কারণ, অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে এত রাত আগে কখনও হয়নি। বাড়ি ফেরে বিধ্বস্ত অবস্থায়। রিকশা থেকে যখন নামে, হাতে গ্লুকোজের ড্রিপ ইঞ্জেকশন। আমরা তক্ষুনি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু, হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মেয়ে মারা যায়।” পুলিশ সুপার জানান, নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা লিখিত অভিযোগে দুই যুবকের নাম উল্লেখ করেন। অভিযোগপত্রে দাবি করেন, মেয়ে মৃত্যুর আগে তাঁদের ওই দুই যুবকের নাম জানিয়ে গিয়েছে। ওই দু'জন মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আরও পড়ুন-Donald Trump: জো বিডেনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে আমিই জিতেছি, বললেন ট্রাম্প
थाना को0 गैंसड़ी की घटना में पुलिस द्वारा कृत कार्यवाही और दो अभियुक्तों की गिरफ्तारी के सम्बंध में SP #balrampurpolice बाइट @Uppolice @AdgGkr @dgpup @UPGovt @InfoDeptUP @PrashantK_IPS90 pic.twitter.com/y2HekCZJ3t
— BALRAMPUR POLICE (@balrampurpolice) September 30, 2020
उक्त प्रकरण में पुलिस द्वारा त्वरित कार्यवाही करते हुए दोनों अभियुक्तों को गिरफ्तार कर लिया है ,हाथ पैर व कमर तोड़ने वाली बात सही नहीं है। पोस्टमार्टम रिपोर्ट में इसकी पुष्टि नहीं हुई है। @Uppolice @AdgGkr @dgpup @PrashantK_IPS90 https://t.co/YgpNvWGDaf pic.twitter.com/FaNFN2myt8
— BALRAMPUR POLICE (@balrampurpolice) September 30, 2020
নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার দেবরঞ্জন বর্মা জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে। নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেন, মেয়েকে ধর্ষণ করার আগে অভিযুক্তরা ওকে একটা ইঞ্জেকশন দিয়েছিল। ধর্ষণের পর ওর কোমর ও দু'পা অভিযুক্তরা ভেঙে দিয়েছিল। রিকশা থেকে নামানোর সময় ও একটা কথাই বলছিল, 'আমার খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি আর বাঁচব না।'