মহাত্মা গান্ধি (Photo Credits: Getty Images)

নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। আজ সেই  উপলক্ষে দেশ জুড়ে সমগ্র জাতি গান্ধীজীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। এই দিনটি গোটা বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। ২০০৭ সালে রাষ্ট্র সংঘ ২রা অক্টোবর কে অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান গুজরাটে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করবে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল পোরবন্দরে মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান কীর্তি মন্দিরে প্রার্থনা সভায় যোগ দেবেন। একইভাবে, আজ সকালে আহমেদাবাদের সবরমতী আশ্রমেও সর্বধর্ম প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। জেলার স্কুল ও কলেজগুলিতে গান্ধীর দর্শনের উপর সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, এবং বৃহৎ পরিচ্ছন্নতা অভিযানগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করবে।

মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে পুর ভবনে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট জনেরা গান্ধীজীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। রাজ্যপাল ডক্টর সিভি আনন্দ বোস কলকাতার মেয়ো রোডে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। সচিবালয় নবান্ন এবং বিধানসভা ভবনেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে। বেলেঘাটার গান্ধী ভবন এবং কলকাতা পুরভবনে এই উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে গান্ধীজীর জন্মদিন উপলক্ষে গান্ধীজীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন গান্ধীজীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে তার জন্মদিনে ।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন গান্ধীজী। বিশ্বজুড়ে গণ অধিকার প্রতিষ্ঠা আন্দোলন কেও অনুপ্রাণিত করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীজী দক্ষিণ আফ্রিকায় গণ অধিকার আন্দোলন সংগঠিত করেন ও নেতৃত্ব দেন। দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করতে স্বৈরাচারী ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কঠোর সংগ্রামে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন গান্ধীজি। ভারত ছাড়ো আন্দোলন ,সত্যাগ্রহ আন্দোলন, খিলাফত আন্দোলন, লবণ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করতে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার দায়ে গান্ধীজি কে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করতে হয়।