![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2024/05/Satyajit-Ray-380x214.jpg)
ভারতীয় চলচ্চিত্রে এমন অনেক মহান ব্যক্তি রয়েছেন যারা বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন, এমনই একজন ব্যক্তি হলেন সত্যজিৎ রায়। আজ, ২ মে, তাঁর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী। ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা পরিচালক হলেন সত্যজিৎ রায়। সত্যজিৎ রায় তাঁর কর্মজীবনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ৩৬টি। সত্যজিৎ রায়কে পুরস্কার দিতে ভারতে এসেছিলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি। ১৯২১ সালের ২ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর বাবা সুকুমার রায় ছিলেন একজন লেখক। ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জিন রেনোয়ারের সঙ্গে দেখা করার পর চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ আরও বেড়ে যায় সত্যজিৎ রায়ের।
৪০ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ৩৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন সত্যজিৎ রায়, যার মধ্যে ফিচার ফিল্ম, ডকুমেন্টারি এবং শর্ট ফিল্ম রয়েছে। সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি হল পথের পাঁচালী, যা মুক্তি পায় ১৯৫৫ সালে, ছবিটি জিতেছিল ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন 'সাইট অ্যান্ড সাউন্ড'-এর ১৯টি সেরা চলচ্চিত্রের মধ্যে ছিল পথের পাঁচালী। এই ছবিটি তৈরি করার সময় কেউ টাকা দিতে রাজি ছিলেন না। জানা গিয়েছে, সত্যজিৎ রায় বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করে তৈরি করেছিলেন পথের পাঁচালী। এমনকি এই চলচ্চিত্রের জন্য তাঁকে তাঁর স্ত্রীর গহনা বন্ধক রাখতে হয়। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে নির্মিত পথের পাঁচালী এতটাই সাফল্য পায় যে তা নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা হয়।
পথের পাঁচালীর পর সত্যজিৎ রায় 'জলসাগর', 'মহাসাগর', 'অপরাজিতা', 'পরস পাথর', 'অপুর সংসার', 'চারুলতা'-এর মতো বহু বাংলা ও হিন্দি ছবি তৈরি করেন। সত্যজিৎ রায় ৩৬টি জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন, যার মধ্যে ৬টি সেরা পরিচালকের জন্য এবং ৩০টি সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য ছিল। ১৯৮৮ সালে, ফ্রান্সের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, সত্যজিৎ রায়কে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান 'লিজিয়ন অফ অনার' দিয়ে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সময় সত্যজিৎ রায় অসুস্থ থাকার কারণে, তিনি নিজে কলকাতায় এসে এই সম্মান প্রদান করেন তাঁকে। এছাড়া সত্যজিৎ রায় পেয়েছিলেন 'দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার'। ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল মৃত্যু হয় সত্যজিৎ রায়ের, এরপর ওই বছরেই তাঁকে 'ভারত রত্ন' প্রদান করে ভারত সরকার।