মুম্বই, ১০ জুন: গিরিশ কারনাড-এর আসল পরিচয়টা তিনি অভিনেতা। মূলত নাট্যকার। কিন্তু মঞ্চের পাশাপাশি বলিউডের মত আম জনতার প্ল্য়াটফর্মেও একই রকম সফল ছিলেন গিরিশ। জনপ্রিয় অভিনেতা সলমন খান থেকে পরিচালক নাগেশ কুকনুর। বলিউডে গিরিশের ভক্তসংখ্যা অসংখ্যা। যে কোনও ধরেনর চরিত্রেই মানানসই ছিলেন তিনি। শুধু অভিনয় কেন, চিত্র নাট্যকার হিসেবেও দারুণ জনপ্রিয়। রবীন্দ্রনাথের নাটকের সমলোচনা করে তীব্র বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গিরিশ করনাড। রাজনৈতিক অবস্থান তাঁকে বারবার বিতর্কের মুখে ফেলেছে। গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব ছিলেন গিরিশ। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগেও বিজেপি-আরএসএস বিরোধী লেখক শিল্পী সঙ্ঘের প্রধান মুখ ছিলেন তিনি।
গিরিশ কারনাডের মৃত্য়ুতে তাঁর রাজ্য কর্নাটকে তিনদিনের শোক পালনের কথা ঘোষণা হয়েছে। একদিন সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে কর্নাটক সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে অভিনেতা কমল হাসান সহ বলিউডের নানা ব্যক্তিত্বরা তাঁর মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। আরও পড়ুন- কমেডিয়ান-বিখ্যাত এই অভিনেতা প্রয়াত
আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গিরিশ কারনাডের বিখ্যাত পাঁচটি বলিউড সিনেমাগুলিকে--
১) এক থা টাইগার
২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া মেগাহিট সিনেমা 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'-তে নায়ক সলমন কানের তিনি ছিলেন বস। এই সিনেমায় RAW প্রধানের চরিত্রে অভিনয় করে একটা আলাদা মাত্র এনেছিলেন গিরিশ। গুরুগম্ভীর চরিত্রের RAW প্রধানের মুখে হাসি আর মনে ছিল তার শিষ্য সলমনকে নিয়ে নরম জায়গা। সব মিলিয়ে গিরিশ মাতিয়ে দিয়েছিলেন।
২) টাইগার জিন্দা হ্যায়
পাঁচ বছর পর এক থা টাইগারের সিক্য়ুয়েলে ফের সলমন খানের বস হিসেবে কাজ করেন টাইগার জিন্দা হ্যায় তেও।
৩) ইকবাল
নাগেশ কুকনুর পরিচালিত ইকবাল সিনেমায় নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা কোড়ান গিরিশ কারনাড।
৪) ডোর
নাগেশ কুকনুরের আরও একটা ক্লাসিক সিনেমায় অভিনয় করে গিরিশ মন জেতেন।
৫) নিশান্ত
১৯৭৫ সালে জাতীয় পুরস্কার জয়ী সিনেমা 'নিশান্ত'-এ স্কুল মাস্টারের ভূমিকায় গিরিশ কাকনাড়ের অভিনয় কখনও ভোলা যাবে না। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত এই সিনেমায় স্কুল মাস্টারের ভূমিকায় অবিনয় করেছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রীকে গ্রামের লোকেরা অপহরণ করে। এই নিয়েই নাসিরুদ্দিন শাহ, অমরীশ পুরী, স্মিতা পাটিল, অন্তত নাগ অভিনীত এই সিনেমা ভারতীয় প্যারালাল সিনেমার সর্বকালের সেরাদের তালিকায় ঢুকে গিয়েছিল।
জন্মেছিলেন মুম্বইয়ে(Mumbai)। ১৯৩৮ সালের ১৯ মে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়েও অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আরও পড়ুন, Journalis Arrested: Social Media যোগীকে নিযে কটূক্তি, গ্রেপ্তার সাংবাদিক
নাট্য রচনাও করতেন তিনি। তাঁর লেখা যাত্রী(১৯৬১), তুঘলক(১৯৬৪), হয়াভানন্দন(১৯৭২) নাটক গুলি বিশেষ ভাবে সমালোচিত হয়েছিল। ১৯৭০ সালে কন্নড় সিনেমা সংস্কারা দিয়ে সেলুলয়েডে অভিনয় শুরু করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শিল্পী মহল। টুইটে শোক প্রকাশ করেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া।