Photo: Wikipedia

বিধানসভা নির্বাচনে নবান্নই পাখির চোখ। তাইতো রাজ্যের ভোট রাজনীতি একেবারে তুঙ্গে। দুদিন অন্তর অন্তর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রাজ্যে আসছেন আর একের পর এক প্রকল্পের ঘোষণা করে চলেছেন। বাঙালি আবেগকে জিইয়ে রেখে বাংলার মানুষের মনে গেরুয়া গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে এবার ‘সত্যজিৎ রায় পুরস্কার’ (Satyajit Ray Award)  চালু করতে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। ঘটনাবহুল সোমবারের বারবেলায় নোয়াপাড়া দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি। আর রাতেই শহরের পাঁচতারা হোটেলে টলি তারকাদের সাহচর্যে ‘সত্যজিৎ রায় পুরস্কার’ চালুর বিষয়টি ঘোষণা করলেন সেই মোদি সরকারের মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন, এমন সময় বাঙালির আবেগ জয়ে এহেন ঘোষণায় একেবারে জয়জয়কার পড়েছে। আরও পড়ুন-Nikhil Jain vs Nusrat Jahan: দাম্পত্যের বিড়ম্বনা, নুসরতের কাছে বিচ্ছেদ চেয়ে নোটিস নিখিলের

তবে রাজনীতিকে সরিয়ে ভাবতেই চান সন্দীপ রায়। ভোটের আগে এত বড় ঘোষণা নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে তিনি বললেন, “খুব ভাল লাগছে। আমরা সকলেই খুশি। এটাই সঠিক সময়। বাবার ১০০তম জন্ম জয়ন্তীর বছরে ঘোষিত হল। ভালই লাগছে।” দাদা সাহেব ফালকে- পুরস্কারের মতো এবার থেকে চলচ্চিত্র জগতের কৃতীরা সত্যজিৎ রায় পুরস্কার পাবেন শুনে বেজায় খুশি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তবে ভাল খবর হলেও এই ঘোষণার পিছনে যে ভোট রাজনীতি দারুণভাবে সক্রিয় তা বলতে ছাড়লেন না অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ভোটের আগে ঘোষণা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সময়টা বিবেচনা করতে হবে। বাঙালি আবেগ উস্কে দিতে চাইছে।”

সত্যজিৎরায় পুরস্কার ঘোষণায় খুশি অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় নাম না করেই ভোটের আবহে রাজনৈতিক দলগুলিকে ঠুকলেন। তিনি বলেন, “সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) ভারত কেন সারা পৃথিবীর বরেণ্য পরিচালক। ঘটনাচক্রে তিনি বাংলার মানুষ। বলাইবাহুল্য তাঁর নামে পুরস্কার হলে ভাল খবর। তবে কেউ নির্বাচনী ফায়দা তুললে খারাপ তো লাগবেই। তবে রাজনৈতির কারণেই যে হচ্ছে, তাতে অবাক হচ্ছি না। নির্বাচনের আগে আলাদা মাহাত্ম্য আছে। নির্বাচন পর্যন্ত বাংলার যাবতীয় মনীষীদের প্রবল নাড়াচাড়া চলবে। মানুষ সবই দেখতে পাচ্ছে।” যেভাবেই হোক বাঙালি বিরোধী তকমা ঘুচিয়ে চলতি নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া ঝড়ে সাফ করতে হবে বাকিদের। এটাই এখন বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। তারজন্য একের পর এক প্রকল্প, সঙ্গে জুড়ল সত্যজিৎ রায় পুরস্কার।