কত ওঠানামা আইন আদালতের চৌহদ্দি টপকে অবশেষে মুক্তি পেল সঞ্জয়লীলা বনসালির বহু প্রতিক্ষীত ছবি "গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি" (Gangubai Kathiawadi) । এই ছবিতে বনসালির তুরুপের তাস ততা গাঙ্গুবাঈ আলিয়া ভাটের দিকে গোটা দেশের নজর। নিজের অভিনয় দক্ষতায় ঠিক কীভাবে দর্শকদের তিনি মোহাবিষ্ট করেন তা দেখতে হলে ছবি মুক্তির প্রথম দিনে একবার চোখ ভুলিয়ে নিন হল ফেরত বিশেষজ্ঞদের মতামতে। ট্রেলর , টিজারে আলিয়ার বক্তব্য, বাচন ভঙ্গি, চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে চলাফেরা, পতিতাপল্লির কথ্যভাষায় সাবলীল আলিয়া ইতিমধ্যেই অনুরাগীদের নজর কেড়ে নিয়েছেন।
"গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি"-তে আলিয়া ভাট ছাড়া অন্যান্য মূল চরিত্রে রয়েছেন শান্তনু মাহেশ্বরী, সীমা পওয়া, বিজায় রাজ, ইন্দিরা তিওয়ারি। এবং এক ক্যামিও রোলে দেখা যাবে অজয় দেবগনকে। এস হুসেইন জায়েদি ও জেন বোর্গেস-এর লেখা 'মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বই' বইয়ের গল্পই এই ছবির প্রেক্ষাপট।
ছবির পরতে পরতে যেন বিষ্ময় অপেক্ষা করে আছে। মু্মবইয়ের অতি পুরোনো পতিতাপল্লি কামাথিপুরা। সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনচরিত। খুব সুন্দরভাবে ছবিতে তুলে ধরেছেন সঞ্জয়লীলা বনসালি। সন্ধের কামাথিপুরার অলিগলিতে নগরনটীদের চলাফেরা, রহস্যময় চাহনি যেন দর্শককে বেশ কয়েক দশক পিছিয়ে দেবে। দেশের বাণিজ্য নগরীর মধ্যে আর এক ছোট্ট জগৎ, কামাথিপুরার গলির বাইরে বেরোলে যার ছিটেপোটা সাদৃস্য কোথাও পাবেন না।
এমন লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্রের জন্য অনন্য আলিয়া ভাট। তিনি যে এই অল্প বয়সেই কত পরিণত অভিনয় দর্শকদের জন্য উপস্থাপন করতে পারেন, তা ফের প্রমাণ করলেন। হায়দার, ডিয়ার জিন্দেগি, রাজি, টু-স্টেট, আলিয়া ভাট যেন নিজেকে বার বার ভেঙে চলেছেন। এবং প্রতিবারই নতুন রূপে গড়েও নিচ্ছেন নিজেকে। ব্লক বাস্টার সাফল্য উপহার দিয়েছেন একের পর এক। "গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি"র মতো ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিজেকে তৈরি করা চাট্টিখানি কথা নয়। একেবারে কেরিয়ারের শুরুতে বড়সড় ঝুঁকি নিয়েও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন আলিয়া। আর আলিয়া ভাট-কে গাঙ্গুবাঈয়ের চরিত্রে নির্বাচন করার জন্য বনসালিকে কৃতিত্ব তো দিতেই হবে। পুরোটা জানতে হলে দেকে আসুন "গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি"।