মোহন ভাগবত ও মিঠুন চক্রবর্তী (Photo Credits: Social Media)

মুম্বই, ১৬ ফেব্রুয়ারি: রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যে ঘটনাবহুল হতে চলেছে তাতে কোনওরকম সন্দেহের অবকাশ নেই। দিন যত এগোচ্ছে ততই চড়ছে ভোটযুদ্ধের পারদ। একদিকে গদি ধরে রাখার নিরন্তর লড়াই চলছে তৃণমূল শিবিরে। অন্যদিকে শাসক তৃণমূলকে গদিচ্যুত করতে সমর্থনের অস্ত্রে লাগাতার শান দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেভাগেই দল গোছানো শুরু করেছিল বঙ্গ বিজেপি। একুশের ভোট যত কাছাকাছি আসছে ততই যেন উত্তরোত্তর উন্নতি সাধনে মনোনিবেশ করছে বিজেপি। তালমিলিয়ে শাসকদল ছেড়ে বাংলার বাঘা বাঘা রাজনীতিকরা পদ্মশিবিরে পাড়ি দিচ্ছেন। এই তালিকায় বাদ নেই টলিউডও। এদিকে মঙ্গলবার সাতসকালে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) সঙ্গে দেখা করে গেলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত।

রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী এক সময় বাম আন্দোলনে ছিলেন। পরে তিনি রাজ্যের শাসকদল তৃণূলের যোগ দান করেন। ২০১৬ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নেন। সেই মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়িতে পড়ল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের পায়ের ধুলো, আলোচনা তো হবেই। তাহলে কী এবার মিঠুনদাদাও পদ্মশিবিরে নাম লেখালেন? যদিও এই প্রসহ্গে না ঢুকেই মহাগুরুর দাবি, মোহন ভাগবতের সঙ্গে আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়েছে তাঁর। আর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়েছেন আরএসএস প্রধান। এমনিতেই আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যরাজনীতি। আর এবারের ভোটে রুপোলী পর্দার অভিনেতা অভিনেত্রীরা যে বড় ভূমিকা নিতে চলেছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সেখানে বাংলায় মিঠুনের একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাছাড়া ডিস্কোড্যান্সার খ্যাত নায়ক এখন রাজনীতির বাইরে। সারদা কাঁটা তার পিছু ছাড়লেও খচখচানি রয়েই গিয়েছে। আরও পড়ুন-Godhra 2002 Train Coach Fire: ১৯ বছর পরে পুলিশের জালে গোধরা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রফিক হোসেন ভাটুক

এমতাবস্থায় মোহন ভাগবত যদি মুম্বইয়েরর মাড আইল্যান্ডে মিঠুনের বাড়িতে সাতসকালে উপস্থিত হন তাহলে তো কানাঘুষো শুরু হবে। সিঁদুরে মেঘ তো ভয়ের কারণ বটেই। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন একদা বামপন্থী, পরে তৃণমূল পন্থী অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তারপর থেকে বিষয়টি প্রায় খিল্লির পর্যায়ে গিয়ে পড়েছে। মিঠুন চক্রবর্তী এখন মুখে কুলুপ আঁটলেও ঝুলি থেকে বিড়াল কবে বেরোবে তানিয়ে ধন্দ থেকেই যাচ্ছে।