মুম্বই, ৭ ফেব্রুয়ারি: গত ৩ বছর ধরে চিকিৎসক প্রতীত সামধানির তত্ত্বাবধানে চলছিল লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) চিকিৎসা। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতীত জানান, গত ৩ বছর ধরে যখনই তিনি লতাজির চিকিৎসা করেছেন, সব সময় সুর সম্রাজ্ঞীর হাসি মুখ দেখতে পেয়েছেন। অসুস্থতার জন্য শরীর নুব্জ হলেও, লতাজি কখনও তাঁর হাসি থেকে কাউকে বঞ্ছিত করেননি। রবিবার মৃত্যুর আগে অশক্ত শরীরেও লতাজির হাসি মুখ তিনি দেখেছেন বলে জানান ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের ওই চিকিৎসক।
প্রতীত সামধানি জানান, লতাজিকে যখনই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হত, তিনি বলতেন তাঁকে যেন আলাদা করে দেখভাল করা না হয়। প্রত্যেক রোগীর মতোই যেন তাঁর চিকিৎসা হয়। তাঁর চিকিৎসকার জন্য যেন অন্য কেউ বঞ্ছিত না হন। এমনই জানাতেন হাসপাতালের (Hospital) চিকিৎসক, নার্সদের (Nurse) ।
আরও পড়ুন: RIP Lata Mangeshkar: মন খারাপ গোটা দেশের, লতাজির শেষকৃত্যের পর অস্থিভষ্ম হাতে ভাইপো
গত ৩ বছরে তিনি যখনই অসুস্থ হয়েছেন, চিকিৎসকরা তাঁরে সারিয়ে তুলেছেন। তবে এবার আর পারলেন না। লতাজির চিকিৎসা সত্ত্বেও, তিনি আর শেষ সাড়া দিলেন না বলে জানান চিকিৎসক প্রতীত সাবধানি। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, লতাজি কখনও তা থেকে বিমুখ হননি। উলটে সব সময় চিকিৎসকদের সাহায্য করেছেন কম কথা বলার মানুষটি। তাই লতাজির শেষ যাত্রায় চিকিৎক প্রতীত সামধানি জানান, সারা জীবনে তিনি কখনও লতাজির হাসিমুখের ছবি ভুলতে পারবেন না।