কাইফি আজমি(Photo Credits: Google)

আজ প্রখ্যাত কবি কাইফি আজমি-র (Kaifi Azmi) ১০১-তম জন্মদিন। ১৯১৯-এর ১৪ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে মিজওয়ান-এর জমিদার পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তবে জমিদারি ছেড়েছিলেন তিনি। আক্ষে নিয়ে ছাড়েন পড়াশোনাও। ১৯৪২ সালে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। পরে যোগদেন সিপিআই-তে। নিজের নামও বদলে ফেলেন, কাইফি আজমির পৈতৃক নাম আতাহার হোসাইন রিজভি। রাজনৈতিক দলের চিহ্ন স্বরূপ পার্টির কার্ডটি সযত্নে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সঙ্গে রেখেছিলেন। আলি সর্দার জাফরি সম্পাদিত পার্টির উর্দু মুখপত্র ‘কউমি জং’-এ লেখা শুরু করেন তিনি। তারপর মুম্বইতেই থেকে যান। ব্রিটিশ শাসনে ঝিমিয়ে পড়া ভারতীয় সমাজকে জাগরিত করাই ছিল কাইফি আজমির উদ্দেশ্য। তাইতো সমাজ সচেতনতা মূলক কবিতা লিখেছেন।

মাত্র ১১ বছর বয়সে প্রথম কাব্য প্রতিভা ফুটে ওঠে কাইফি আজমি-র মধ্যে। গজলের গীতিকবিতা, ‘ইতনা জো জিন্দেগী মে কিসি কি খালাল পাড়ে / হাঁসনে সে হো সুকুন না রোনে কাল পাড়ে’, কাইফি আজমির এই গীতিকবিতা শিল্পী বেগম আখতারের কণ্ঠে অমর হয়ে আছে। আর কবিকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক গজল লিখে গিয়েছেন। আর বেগম আখতার তা দরদ দিয়ে গেয়েছেন। কাইফির ভাষায়, বেগম আখতার সাহেবের গজল শোনা মানে গজল দেখা। হিন্দি ছবিতেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।  ‘শামা’, ‘কাগজ কি ফুল’, ‘শোলা অউর শবনম’, ‘অনুপমা’, ‘আখরি খত’, ‘হকিকত’  এই সব ছবির সংলাপ লিখেছেন তিনি। ফিল্ম ফেয়ার, পদ্মশ্রী, সোভিয়েত ল্যান্ড, অ্যাফ্রো এশীয় রাইটার্স লোটাস, মহারাষ্ট্র গৌরব। কাইফি আজমির প্রতিভার মতোই তাঁর পুরস্কারের ডালিও পরিপূর্ণ। তাঁর উল্লেখযোগ্য লেখার মধ্যে রয়েছে ‘আওরত’, ‘মকান’, ‘মেরি আওয়াজ সুনো’ গানটি তো হিন্দি ছবির নাম হয়ে গেল। আরও পড়ুন-Farhan Akhtar's Birthday: পড়াশুনা শেষ হওয়ার আগেই কলেজ ছেড়ে দেন ফারহান

১৯৪৭ সালে শওকত আজমিকে বিয়ে করেন তিনি। বিংশ শতাব্দীর সেরা ভারতীয় গীতিকার ও কবি হিসেবে তাঁর নামই সর্বাগ্রে। বলিউডের জনপ্রিয় গান থেকে শুরু করে, গজল, সংলাপ, ভালবাসার কবিতা কাইফি আজমি ভারতের অন্যতম মুখ বললেও কম বলা হবে। আজ সেই কবির ১০১-তম জন্মদিন উপলক্ষে গুগল ডুডলের (Google Doodle) মাধ্যমে তাঁকে সম্মান জানাচ্ছে।