“সব শেষ হয়ে গেল, আমার বেঁচে থাকার কারণটাই নেই৷” ঠিক এক সপ্তাহ আগে প্রাণবন্ত ছেলেকে হারিয়েছেন৷ অবশেষে কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রয়াত সিদ্ধার্থ শুক্লর (Sidharth Shukla) মা রীতা শুক্ল৷ পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যের এমন অকালে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না মা৷ ছেলের বিগবস সতীর্থ তথা সংগীত শিল্পী রাহুল বৈদ্যের (Rahul Vaidya) কাছে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না৷ একই অবস্থা রাহুলেরও৷ গত ১ তারিখেই সাংবাদিকের ফোনে প্রথম দুঃসংবাদ পান৷ প্রথমে বিশ্বাস করেননি৷ তবে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সিদ্ধার্থ ছবি দেখে তিনি নিশ্চিত হন৷ চণ্ডীগড়ে থাকায় সেদিন আর বন্ধুকে দেখতে আসতে পারেননি৷ তবে মুম্বই ফিরে সস্ত্রীক সিদ্ধার্থের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাহুল বৈদ্য৷ আরও পড়ুন-Sidharth Shukla No More: অভিনয়ের আগে মডেলিংকেই পেশা করে ছিলেন, প্রয়াত সতীর্থ সিদ্ধার্থ শুক্লকে স্মরণ করবেন বিদ্যুৎ জামওয়াল
সিদ্ধার্থ যে মায়ের মতোই বলিষ্ঠ মনের অধিকারী তা তো আগে থেকেই জানতেন৷ দীর্ঘদিন একসঙ্গে বিগবসের সেটে কাটিয়েছেন৷ তাই জানতেন, সিদ্ধার্থ সহজে ভেঙে পড়ার ছেলে নয়৷ এই শক্তি যে মায়ের থেকেই এসেছে তা বোঝা যায়৷ তাইতো ছেলেকে হারিয়েও নিজেকে ধরে রেখেছিলেন রীতা শুক্ল৷ কিন্তু সিদ্ধার্থের নশ্বর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হতেই তিনি ভেঙে পড়েন৷ গত ১২ ডিসেম্বর সিদ্ধার্থের ৪০-তম জন্মদিনের পার্টিতে রাহুল উপস্থিত৷ এক সপ্তাহের জন্য বিগবসের সেটের বাইরে থাকায় রাহুল যে হোটেলে উঠেছিলেন৷ সেখানেই দুটি তলা উপরে মা, ও পরিবারের সকলের সঙ্গে ৪০-তম জন্মদিনের উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন সিদ্ধার্থ৷ শুভেচ্ছা জাননোর জন্য ফোন করতেই তাঁকেও আমন্ত্রণ জানান প্রয়াত অভিনেতা৷
সিদ্ধার্থকে স্মরণ করলেন রাহুল বৈদ্য
সেখানে গিয়ে শেহনাজের সঙ্গে রাহুলের দেখা হয়৷ দিশার সঙ্গে ভিডিও কলে সিদ্ধার্থ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন রাহুল৷ সেদিনই শুরু হয়েছিল বন্ধুত্ব৷ এরপর বিগবস থেকে গওহর খান ও হিনা খান রাহুলকে আউট করে দেওয়ার চেষ্টা করলেও সিদ্ধার্থ একা লড়াই করে তাঁর পাশে থেকেছেন৷ সিদ্ধার্থের জন্যই তিনি বিগবসের ফাইনালে উঠতে পেরেছিলেন৷ এক লাইভে সেকতাও স্বীকার করে প্রয়াত অভিনেতাকে ধন্যবাদ জানান এই সংগীত শিল্পী৷
সেই সঙ্গে বলেন, শুধু মা রীতা শুক্লই নন, সিদ্ধার্থকে হারিয়ে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন শেহনাজ খান৷ সিদ্ধার্থের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গেও রাহুলের দেখা হয়৷ কিন্তু কথা বলার পরিস্থিতিতে ছিলেন না শেহনাজ গিল৷ রীতা শুক্ল বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই শুনছিলাম বিভিন্ন বাড়িতে বড়রা পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যকে হারিয়েছেন৷ সেই যন্ত্রণা যে তাঁর জীবনে আসবে ভাবতেও পারেননি সিদ্ধার্থের মা৷